সাবেক সিটি মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ভাতিজা বেলায়েত হোসেন চৌধুরী রুবায়েতের উপর হামলার ঘটনায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার (১১ আগস্ট) নগরের পাঁচলাইশ থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলা নং ৭।
মামলার এজাহারে সোলায়মান বাদশাহ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী সুজন, শেখ শাহীন, তৈয়বুর রহমান রুবেল, মো. রাসেল, মো. মোরশেদ, মো. অনিক, শফিউল আজিম মন্টি, জাবেদ, রাহুল দাশ ও ইশানের নাম উল্লেখ করে এবং ২০/২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
হামলার সময় মোবাইল ফোন সেট, নগদ টাকা এবং স্বর্ণ ছিনতাইসহ ১ লাখ ৪৭ হাজার টাকার আর্থিক ক্ষতিরও উল্লেখ করা হয়।
আহত রুবায়েতের ভাই বিকালে মামলা দায়ের করতে গেলে সার্ভার সমস্যা বলে তাকে ফেরৎ পাঠানো হয়। পরে সন্ধ্যায় সার্ভার ঠিক হলে মামলা গ্রহণ করা হয় বলে জয়নিউজকে নিশ্চিত করেছেন পাঁচলাইশ থানার ওসি মহিউদ্দিন মাহমুদ। তিনি তদন্তের পর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলেন।
মামলার বাদি রুবায়েত জয়নিউজকে জানান, ‘পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী বৈদ্যুতিক লাইন সম্প্রসারণের জন্য খুঁটি দেওয়ার জায়গা নির্ধারণ করে দেয়। প্রথমে সেই স্থানে গর্ত খোঁড়া হয়েছিল। দুপুরের পর ওই গর্ত ভরাট করে আমার ব্যক্তিগত জায়গায় ৪৪০ লাইনের খুঁটির জন্য গর্ত খুঁড়তে আসে। আমি কর্তব্যরতদের জিজ্ঞেস করলাম, প্রকৌশলী দেখিয়ে গেলেন একস্থান, আপনারা আমার ব্যক্তি মালিকানার জায়গায় কেন গর্ত খুঁড়ছেন? এতে সালেহিন (মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে) ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। পরে আমার চাচা কবির আহাম্মদ চৌধুরী মিমাংসার দায়িত্ব নেন। চাচা পিডিবির প্রকৌশলীকে ফোন করেন। প্রকৌশলী আসার আগেই সন্ত্রাসীরা আমার উপর হামলে পড়ে। সোলাইমান ও রুবেল আমার মাথার ডান পাশে পিস্তলের বাট দিয়ে আঘাত করে।
মামলার এজাহারভুক্ত ২নং আসামি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী সুজন জয়নিউজকে বলেন, ঘটনার দিন আমি বিশ^বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছিলাম। ট্রেনে কাটা পড়ে রবিউলের পা হারানো নিয়ে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিচ্ছিলাম। যা স্থানীয়, জাতীয় দৈনিকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারও হয়েছে।
জয়নিউজ/আরসি