বেতন-ভাতাসহ নানা দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেছেন রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। যার ফলে সোমবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে বন্ধ রয়েছে সারা দেশে ট্রেন চলাচল। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন অসংখ্য যাত্রী।
জানা গেছে, অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন এবং আনুতোষিক সুবিধা সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান না হওয়ায় এ কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা।
সোমবার রাত ১২টার আগে কমলাপুর থেকে ট্রেন ছেড়ে গেলেও মধ্যরাত থেকে শিডিউলে থাকা ট্রেনগুলোতে ওঠেননি রানিং স্টাফরা।
এর আগে, সোমবার রেল ভবনে বৈঠকের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেন রানিং স্টাফরা। রেলওয়ের কর্মীদের অভিযোগ, দিনে ৮ ঘণ্টার জায়গায় রানিং স্টাফদের কাজ করতে হয় ১৫ থেকে ১৮ ঘণ্টা।
রেলের নেতারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য মজুরির দাবি জানানোর পরও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
এদিকে, রেলপথ মন্ত্রণালয় রানিং স্টাফদের ঘোষিত কর্মসূচি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকীর স্বাক্ষর করা গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ রেলওয়ে ও রেলপথ মন্ত্রণালয় রানিং স্টাফদের দাবি-দাওয়া/চাহিদা পূরণে যথেষ্ট আন্তরিক ও সর্বোচ্চ সচেষ্ট।
এরই মধ্যে রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে রানিং স্টাফদের দাবি-দাওয়াগুলো অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে পত্র যোগাযোগের পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক আলোচনাও অব্যাহত আছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে এরই মধ্যে তাদের রানিং অ্যালাউন্স ৭৫ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে।
এছাড়া মাইলেজ অ্যালাউন্স পাওয়ার জন্য সর্বনিম্ন ৮ ঘণ্টা ও ১০০ মাইল দূরত্বের শর্তও শিথিল করা হয়েছে। রানিং স্টাফদের অন্যান্য দাবি আদায়ে রেলপথ মন্ত্রণালয় যথেষ্ট আন্তরিক ও সচেষ্ট রয়েছে।
জেএন/পিআর