গেল বছরের তুলনায় চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে আমদানি-রপ্তানি পণ্য হ্যান্ডলিংয়ে উদ্ধমুখী ধারা দেখা গেছে চট্টগ্রাম বন্দরে।
পুরো বছরই এই ধারা অব্যাহত থাকবে এমনটাই আশা বন্দর কর্তৃপক্ষ। তাদের ধারণা বছর শেষে বন্দরের রিপোর্ট রেকর্ড গড়ার মতোই হবে।
বন্দর সূত্রে জানায়, গেল বছরের জানুয়ারির তুলনায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে ১৫ হাজার ৬১০ টিইইউস রপ্তানি কনটেইনার বেশি হ্যান্ডলিং হয়েছে। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের হিসেব অনুযায়ী চলতি বছরের সদ্য শেষ হওয়া জানুয়ারি মাসে মোট রপ্তানি কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে ১ লাখ ২৮ হাজার ৩৮৩ টিইইউস।
গত বছরের একই সময়ে (জানুয়ারি ২০২৪) মোট রপ্তানি কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ১২ হাজার ৭৭৩ টিইইউস।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের মধ্যে রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার ছিল ৭৫ হাজার ২৩৪ টিইইউস এবং খালি রপ্তানি কনটেইনার ছিল ৫৩ হাজার ১৪৯ টিইইউস।
অন্যদিকে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার ছিল ৬৩ হাজার ৬৩৪ টিইইউস এবং খালি রপ্তানি কনটেইনার ছিল ৪৯ হাজার ১৩৯ টিইইউস।
তুলনামূলক চিত্রে দেখা যায় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় সদ্য বিদায়ী জানুয়ারিতে আমদানি ও রপ্তানি উভয় কনটেইনার হ্যান্ডলিং বেড়েছে। একইভাবে জানুয়ারিতে রপ্তানির পাশাপাশি হ্যান্ডলিং বেড়েছে আমদানি কনটেইনারেও।
চট্টগ্রাম বন্দরের হিসেব অনুযায়ী চলতি বছরের সদ্য শেষ হওয়া জানুয়ারি মাসে মোট আমদানি কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ২৩১ টিইইউস।
যার মধ্যে আমদানি পণ্যবাহী কনটেইনার ছিল ১ লাখ ২৪ হাজার ৩৯ টিইইউস এবং খালি আমদানি কনটেইনার ছিল ১১ হাজার ১৯২ টিইইউস।
অন্যদিকে গত বছরের একই সময়ে (জানুয়ারি ২০২৪) মোট আমদানি কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ১৯ হাজার ৯৩৬ টিইইউস। যার মধ্যে আমদানি পণ্যবাহী কনটেইনার ছিল ১ লাখ ১২ হাজার ৯৫ টিইইউস এবং খালি রপ্তানি কনটেইনার ছিল ৭ হাজার ৮৪১ টিইইউস।
তুলনামূলক চিত্রে দেখা যায় বিদায়ী বছরের জানুয়ারির তুলনায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে ১৫ হাজার ২৯৫ টিইইউস আমদানি কনটেইনার বেশি হ্যান্ডলিং হয়েছে। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
চট্টগ্রাম বন্দরের পাশাপাশি পতেঙ্গা টার্মিনালেও এখন কনটেইনার হ্যান্ডলিং হওয়ায় বছরের শুরুটা আমদানি-রপ্তানীতে আশা জাগিয়েছে। সারা বছরই পণ্য ও কনটেইনার হ্যান্ডলিং বাড়বে আশা করছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
জেএন/পিআর