চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড পোস্ট অফিস সংলগ্ন এলাকার একটি বাসায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে তাজমিন আক্তার (১৩) নামে এক কিশোরী।
মঙ্গলবার (০৪ ফ্রেরুয়ারী) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পোস্ট অফিস সংলগ্ন আলমগীরের ভাড়া বাসা থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে তার বড় বোন হামিদা বেগম।
পরে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাজমিন আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে আত্মহত্যার খবরে পটিয়া থানা পুলিশের একটি টিম হাসপাতালে এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
নিহত কিশোরী তাজমিন আক্তার বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যাংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের সোনা আলীর মেয়ে। সে কিছুদিন আগে পটিয়ায় তার বড় বোন হামিদার ভাড়া বাসায় বেড়াতে আসেন।
নিহতের বড় বোন জানান, তিনি তার সংসার নিয়ে পটিয়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন। তার বোন তাজমিন আক্তার গত ১৫ দিন আগে বেড়াতে আসেন।
এরমধ্যে হাইদগাঁও এলাকার আকিব নামে এক ছেলের সাথে সে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। ওই ছেলের সাথে ২ দিন আগেও বেড়াতে বের হয়েছিল সে। ওইদিন থেকে তাদের দুইজনের মধ্যে ঝগড়া চলছে শুনেছি।
মঙ্গলবার ঘরের দরজা বন্ধ করে সে (তাজমিন) আত্মহত্যা করে। এই ঘটনার পরপরই পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. প্রিয়াংকা চৌধুরী তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চিকিৎসক প্রিয়াংকা জানান, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাজমিন নামের ওই কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার গলায় ফাঁস লাগানোর দাগ ছিল। তার শারিরীক পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে দেখি হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে পটিয়া থানার এসআই মো. আসাদ জানান, লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কিভাবে মারা গেছে তা তদন্ত করা হচ্ছে।
জেএন/পিআর