চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ২১ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন প্রশাসন।
জুলাই-আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থী ও জনস্বার্থ বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৮ জনকে হল থেকে বহিষ্কার এবং ৩ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে স্টুডেন্টস ডিসিপ্লিন কমিটির ২৮১তম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছেন, যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, প্রায় সবাই নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
এর মধ্যে ৮ জন সহ সভাপতি, ৭ জন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ৫ জন সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ছিলেন।
আবাসিক হল থেকে বহিষ্কৃত ১৮ নেতা হলেন, সহ-সভাপতি তোফাইয়া রাব্বি, মো. ইমাম হোসেন, মো. সাদিকুজ্জামান, ইউসুফ আব্দুল্লাহ রনি, মো. তানভীর জনি, ইফতেখার সাজিদ সম্রাট ও শাকিল ফরাজী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ তৌফিকুর রহমান, সৌমিক জয়, তালহা জুবায়ের, মাহমুদুল হাসান জাহিদ, মো. রিফাত হোসাইন, মইনুল হক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আজহারুল ইসলাম মুন্না, ইরফানুল করিম তোহা, আশিকুল ইসলাম, তাহসিন ইশতিয়াক ইফতি, আব্দুর রহমান জিহাদ।
এছাড়াও চুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বিজয় হোসেন, সহ-সভাপতি চিন্ময় কুমার দেবনাথ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রাকিব উদ্দিন চৌধুরীকে কারণ দর্শাতে বলা হয়।
চুয়েটের ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক ড. মো. রেজাউল করিম জানান, সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়ার পর সেসব বিষয়ে অভিযোগকারী ও অন্যান্যদের স্বাক্ষাৎকার গ্রহণ করে কৃর্তপক্ষ। অভিযোগের সত্যতা নিরুপণে তদন্তও করা হয়।
তিনি জানান, এরই প্রেক্ষাপটে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
শৃঙ্খলাবিধি অনুযায়ী এসব শিক্ষার্থীকে ২৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে লিখিত আকারে অথবা পরবর্তী মিটিংয়ে সরাসরি বক্তব্য জানাতেও বলা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া জানান, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে সাময়িকভাবে তাদেরকে এ শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাক্ষ্য প্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে।
যদি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয় তবে তাদের শাস্তি আরো বর্ধিত করা হবে। আর যদি অভিযুক্ত কেউ আনীত অভিযোগের সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতা নেই প্রমাণ করতে পারে তবে তাঁর এ শাস্তি স্থগিত করা হবে।
জেএন/পিআর