চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)র বিভিন্ন থানা এলাকায় গেল ২৪ ঘন্টা সময়ে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীসহ ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে শনিবার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন থানা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ছাড়াও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী, পরিকল্পনাকারী, অপরাধের সহযোগী এবং অস্ত্রধারী রয়েছে।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- কোতোয়ালী থানার মো. হাসান (২১), মো. মেহেরাজ (২৫), জিয়াউল হক সোহেল (৪০), সদরঘাট থানার হকার্স লীগের সভাপতি মো. মাসুম (২৯) এবং ২৯নং পশ্চিম মাদারবাড়ী ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন অশিক (৩৫), চান্দগাঁও থানার রুপক কান্তি নাথ (৪৫) এবং ইসরাত আশরাফি অপি (২৪), বায়েজিদ বোস্তামী থানার মো. ইকবাল হোসেন শাহেদ (২৫) এবং মো. লিমন (২৪), চকবাজার থানার মো. মাহাবু আলম ওরফে মাহাবুব (৩৫) এবং নবী হোসাইন (৪০), পাঁচলাইশ মডেল থানার যুবলীগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নুর উদ্দিন (৩৪) এবং মো. রিপন তালুকদার (৩০), আকবরশাহ থানার ফজলুল হক (২৬), কর্ণফুলী থানার চরপাথরঘাটা আওয়ামী লীগের ৫ নং ওয়ার্ডের সহ-সভাপতি মো, জসিম উদ্দিন (৫২), পাহাড়তলী থানার মো. সাইফুল ইসলাম (৪২), বন্দর থানার ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান ওরফে নাকিব (২৫), ইপিজেড থানার মো. শাকিল ইসলাম (১৯) এবং ওয়াশিম আকরাম (২৪), পতেঙ্গা মডেল থানার মো. শফিউল আলম (৪২), বাকলিয়া থানার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সরাসরি জড়িত আমান (২২), আবুল কাশেম (৫০) এবং মো. বাপ্পী (২৩)।
সিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপপরিদর্শক ইমরান হোসেন জানান, এতে বলা হয়, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা, বিশেষ ক্ষমতা আইন এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একাধিক মামলা রয়েছে।
জেএন/পিআর