আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেছেন, ‘আপনাদের মেয়েদের স্কুল-কলেজে দিবেন না। বেশি থেকে বেশি ক্লাস ফোর-ফাইভ পর্যন্ত পড়াইতে পারেন। আর বেশি যদি পড়ান পত্র-পত্রিকায় দেখতেছেনতো আপনারা। ওই মাইয়া (মেয়ে) ক্লাস এইট, নাইন, টেন, বিএ, এমএ পর্যন্ত পড়ালে কিছুদিন পর আপনার মেয়ে থাকবে না। তাই আপনারা আমার সাথে ওয়াদা করেন। বেশি পড়ালে আপনার মেয়েকে টানাটানি করে অন্য পুরুষ নিয়ে যাবে। আমার এ ওয়াজটা মনে রাখবেন।’
শুক্রবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের আল-জামিআতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার ১১৮তম বার্ষিক মাহফিল ও দস্তারবন্দী সম্মেলনে ওই মাদ্রাসার পরিচালক ও হেফাজত আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, ‘মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শের মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত শান্তি। যারা তাঁর আদর্শ অনুসরণ করবে তাঁরা দুনিয়া ও আখেরাতে শান্তিতে থাকবে। পরকালে তারাই হবে সফলকাম ব্যক্তি।’
আল্লামা শফি পুরুষদের সুন্নত মোতাবেক দাঁড়ি রাখা, নামাজ পড়া ও মেয়েদের পর্দা করানোর বিষয়ে উপস্থিত সবার কাছ থেকে হাত উঠিয়ে প্রতিশ্রুতি নেন। পরে দোয়া পরিচালনার মাধ্যমে তিনি বক্তব্য শেষ করেন।
মাহফিলে দেশবরেণ্য আলেম-ওলামারা অংশগ্রহণ করেন। গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন আল্লামা শেখ আহমদ, আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, মাওলানা আব্দুল বাসেত খান সিরাজী, মুফতি জসিম উদ্দিন, মাওলানা আজিজুল হক আল মাদানী, মাওলানা খালেদ সাইফল্লাহ আইয়ুবী, ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, মাওলানা ফোরকান আহমদ, মাওলানা নুরুল ইসলাম প্রমুখ।
এদিকে মাহফিল উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে হাজার হাজার আলেম-ওলামা ও মুসল্লীরা মাদ্রাসায় এসে জমায়েত হন এবং গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য শোনেন।
গত বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা থেকে শুরু হয়ে শুক্রবার রাত ৯টায় জলসা শেষ হয়। এরপর রাত ১২টা পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার ছাত্রকে ‘দস্তারে ফজিলত’ প্রদান করা হয়।