প্রকল্পের ৮০ শতাংশ কাজ শেষ, দাবি সিডিএর

সড়ক কাম বাঁধ নির্মাণে বদলে যাচ্ছে কর্ণফুলী নদী পাড়ের দৃশ্যপট

আনাগোনা বেড়েছে পর্যটকদের

বিশেষ প্রতিবেদন :

কর্ণফুলী নদীর তীর বরাবর কালুরঘাট সেতু থেকে চাক্তাই খাল পর্যন্ত সড়ক কাম বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পটি এখন চট্টগ্রামের অন্যতম আলোচনার বিষয়।

- Advertisement -

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অধীনে নির্মাণাধীন প্রকল্পটির একপাশে শহর, আরেক পাশে রয়েছে ঐতিহ্যবাহি কর্নফুলী নদী।

- Advertisement -google news follower

নদী তীরের বেরিবাঁধ কাম সড়কটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৭৭৯ কোটি টাকা। যা ইতিমধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে দাবি সিডিএ’র।

কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রকল্প কাজ শতভাগ শেষ হলে শহর রক্ষা ও জলাবদ্ধতা নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। একই সাথে পাল্টে যাবে চট্টগ্রাম শহরের দৃশ্যপটও। নদী রক্ষার পাশপাশি নতুন এক সম্ভাবনাময় পর্যটন স্পটও পেতে যাচ্ছে নগরবাসী।

- Advertisement -islamibank

সিডিএ সূত্র জানায়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্পেকট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড বেরিবাঁধ কাম সড়ক প্রকল্পের কাজ করছেন। এখন পর্যন্ত প্রকল্পের অগ্রগতি ৮০ শতাংশ।

এ প্রকল্পের অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে চাক্তাই থেকে কালুরঘাট পর্যন্ত ১২টি স্লুইস গেট নির্মাণ করা হয়েছে। স্লুইস গেটগুলো নির্মাণে গত বর্ষা মৌসুমে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ এলাকায় বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি জমতে দেখা যায়নি।

জলাবদ্ধতার ও যানজট মুক্ত নগর বিনির্মাণ এবং শহর রক্ষার প্রয়োজনীয়তায় এই প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়েছিল জানিয়ে প্রকল্প সংশ্লিষ্টারা বলেন, নগরীর যান চলাচলে গতি আনা,জীবনমান উন্নয়ন, পর্যটন এবং আবাসনসহ সার্বিক ক্ষেত্রে এই শহর রক্ষায় বাঁধটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

তাছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জলোচ্ছাস ও বন্যা থেকেও রক্ষা পাবে শহর। পাশাপাশি সম্ভাবনাময় এক ’পর্যটন স্পট’ এ পরিণত হবে এ সড়ক।

প্রকল্প পরিচালক নির্বাহী প্রকৌশলী রাজীব দাশ বলেন, ২৭৭৯ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নিমার্ধণাধীন ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ বাঁধ কাম সড়ক প্রকল্পটির নিচের অংশে ২৫০ থেকে ৩০০ ফুট প্রস্থ এবং ১৫ থেকে ২০ ফুট উচ্চতা হবে। যা ইতিমধ্যে ৭ কিলোমিটার (৮০ শতাংশ) নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ। বাকি কাজগুলোও দ্রুত করা হবে।

রবিবার বিকেলে সড়ক কাম বাঁধ নির্মাণকাজ পরিদর্শণে গিয়ে দেখা যায়, বাঁধের পাশে নদীর পাড়ে সাড়ে ৪ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে।

তাছাড়া প্রকল্পটি এলাকার জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে অবদান রাখতে শুরু করেছে। আনাগোনা বেড়েছে পর্যটকদের। প্রতিদিন বিকেল হলে পরিবার নিয়ে প্রশান্তির জন্য বেড়াতে আসছেন এই স্পটে।

এটি ঘোষিত কোন পর্যটন স্পট না হলেও এখন থেকেই পর্যটকদের পদচারনায় মুখরিত সড়কটি।

পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা মোবারক হোসেন বলেন, এখানে পরিবেশটা খুব সুন্দর। সড়কটিও খুব সুন্দর লাগছে, রাস্তার পাশে লাগানো হয়েছে সারি সারি গাছের চারা।

আরসিসিসি ব্লকগুলো এমনভাবে বসানো হয়েছে, মনে হচ্ছে অতিথিদের বসার জন্য আসন পাতানো হয়েছে। যেখানে বসে কর্ণফুলী নদীর অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করার আনন্দটাই অন্যরকম।

উল্লেখ্য : ২০১৭ সালের ২৫ এপ্রিল একনেক সভায় কর্ণফুলীর পাড়ে সড়ক কাম বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দেয় সরকার।

শুরুতে এ প্রকল্পের ব্যয় ২ হাজার ৩১০ কোটি টাকা ধরে ২০১৮ সালের ৬ নভেম্বর কাজ শুরু করে সিডিএ।

প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়সীমা নির্ধারিত ছিল ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত। এরপর তিন দফা প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছিল। আর ব্যয় বাড়িয়ে করা হয়েছে ২৭৭৯ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।

২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত এ প্রকল্পের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে এ সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হলে প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বৃদ্ধি হতে পারে। সেক্ষেত্রে ব্যয় আর বাড়বে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রকল্পের পিডি।

জেএন/পিআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM