কক্সবাজারে পূর্ব বিরোধের জেরে মুজিবুর রহমান (৩৭) নামে এক টমটম চালককে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় তিন সহোদরসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা প্রকাশ শাওন (২২), আনোয়ার হোসেন (৩৩), ইমরান হোসেন (১৯) ও মো. করিম (২৮)।
মুজিবর রহমান কক্সবাজার পৌরসভার ৭ নাম্বারে ওয়ার্ডের হালিমা পাড়ার মৃত আবদুল জলিলের ছেলে।
স্থানীয়রা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সম্প্রতি কিস্তিতে একটি ইজিবাইক কেনেন আনোয়ার হোসেন। তার কিছুদিন পর চুরি হয় ইজিবাইকটি। সেই ইজি বাইকটি মুজিবর রহমান পাঁচ হাজার টাকার চুক্তিতে সেটি চোরের কাছ থেকে উদ্ধার করে আনোয়ারের কাছে হস্তান্তর করেন।
তবে আনোয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া সেই টাকা পরিশোধ করেননি। মুজিব টাকা দাবি করলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
আরও জানা যায়, রোববার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পাহাড়তলি নতুন বাজার এলাকার ইয়াসিন আরাফাতের টমটম গ্যারেজে মুজিবুর রহমান অবস্থান করছিলেন।
এ সময় আনোয়ার হোসেন ও তার দুই ভাই মোস্তফা শাওন ও ইমরানসহ কয়েকজন তার ওপর হামলা চালায়।
এছাড়াও, সিসিটিভি দেখা যায়, মুজিব এক চালকের সঙ্গে কথা বলছিলেন। হঠাৎ তিন-চারজন যুবক এসে তাকে মারধর শুরু করে। তাদের হাতে ছুরি ও আগ্নেয়াস্ত্র দেখা যায়।
তারা মুজিবকে গ্যারেজের বাইরে টেনে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় মুজিবকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে সোমবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. কামরুল ইসলাম বলেন, হত্যার পরপরই আমরা জড়িতদের শনাক্ত করে অভিযান চালাই।
আট ঘণ্টার মধ্যে মূলহোতা মোস্তফা শাওনসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশিয় বন্দুক ও ৭ রাউন্ড গুলিও উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১৫ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. কামরুল ইসলাম বলেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস খান বলেন, এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সেলিনা আক্তার বাদী হয়ে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
জেএন/পিআর