মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তার ও বালু ব্যবসার দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত তাজেল হাওলাদার (২৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় তিনভাইসহ ৪ জন মারা গেলেন।
নিহতরা হলেন, সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের খোয়াজপুর-টেকেরহাট এলাকার আজিবর সরদারের ছেলে সাইফুল সরদার ও আতাউর সরদার, একই এলাকার মুজাম সরদারের ছেলে ও সাাইফুলের চাচাতো ভাই পলাশ সরদার এবং আজিজুল হাওলাদারের ছেলে তাজেল হাওলাদার।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে সদর উপজেলার খোয়াজপুরে কীর্তিনাশা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও এলাকার আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল খোয়াজপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল সরদার ও প্রতিবেশী আওয়ামী লীগ নেতা শাজাহান খানের লোকজনের সঙ্গে।
এরই জেরে গত ৮ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খোয়াজপুর সরদারবাড়ি জামে মসজিদের সামনে একা পেয়ে সাইফুলের উপর হামলা চালায় শাজাহানের লোকজন। সাইফুলের চিৎকারে এগিয়ে আসেন পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী। ঘটনাস্থলেই কুপিয়ে হত্যা করা হয় সাইফুল ও তার বড়ভাই আতাউর সরদারকে।
বাধা দেয়ায় আহত হয় অন্তত ৫ জনকে। পরে আহতদের উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় মাদারীপুর ২৫০ শয্যার জেলা সদর হাসপাতালে।
সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনজনকে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিক্যালে। ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিনই মারা যায় সাইফুলের চাচাতো ভাই পলাশ সরদার।
এরপর ঘটনার ১০দিন পর আজ ১৮ মার্চ সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় প্রতিবেশি তাজেল হাওলাদার। এ নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় ৪ জনের মৃত্যু হলো।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকছেদুর রহমান বলেন, ‘নিহতের মরদেহ ঢাকা মেডিক্যালে রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে গ্রামের বাড়ি নিয়ে আসা হবে।
এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশি টহলও বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।’
জেএন/পিআর