কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গারা সুযোগ বুঝে ক্যাম্প ছেড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর তিন স্তরের চেকপোস্ট থাকার পরও কোনোভাবেই আটকে রাখা যাচ্ছে না তাদের। এতে স্থানীয় ও জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ছে বলে দাবি সুশীল সমাজের।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার।
পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, গত ১৬ মাসে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ৫৮ হাজার ৩৬১ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে ক্যাম্পে পাঠিয়েছে পুলিশ। আর এসব কাজে সহযোগিতা করার অভিযোগে ৫৩৬ দালালকে আটক করা হয়।
জানা গেছে, উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে। এরা রয়েছে ছয় হাজার একরের বেশি বনভূমির ৩০টি ক্যাম্পে। কিন্তু এসব ক্যাম্পে নেই কোনো কাঁটাতারের বেড়া বা সীমানা প্রাচীর। ফলে অবাধে চলাফেরা করছে রোহিঙ্গারা। সময় যতই গড়াচ্ছে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের চেকপোস্ট পেরিয়ে রোহিঙ্গারা নানা উপায়ে ক্যাম্প ছেড়ে বাইরে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
স্থানীয় জানায়, রোহিঙ্গারা ক্যাম্প ছেড়ে বাইরে আসতে পারায় নানা সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছে তারা। তারা জানায়, নানাভাবে রোহিঙ্গারা ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে আসছে। আমাদের জীবনে তাদের একটা প্রভাব পড়ছে। তারা বাংলাদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করে বিদেশে পর্যন্ত যাচ্ছে।
কাঁটাতারের বেড়া কিংবা সীমানা প্রাচীরের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে রাখার দাবি সুশীল সমাজের। তা না হলে স্থানীয় ও জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন পিপলস ফোরাম কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল।
তবে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো.আবুল কালাম জয়নিউজকে বলেন, রোহিঙ্গাদের নির্দিষ্ট গণ্ডির ভেতরে রাখতে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার বিষয়ে সরকারের একটা নির্দেশনাও রয়েছে। সেই বিষয়েই এখন আমরা কাজ করছি।