চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ ও এমবিএ শেষ করেছেন মো. দাউদ নবী। সপ্তম শ্রেণি থেকেই ‘Ankylosing Spondolitis’ (গ্যাটে বাত) নামক দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত তিনি। কিন্তু টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারছে না তার পরিবার। দিন দিন মেরুদণ্ড বাঁকা হয়ে যাওয়ায় নিত্তনৈমিত্তিক কাজও করতে পারছে না বিশ্ববিদ্যালয়ের এই মেধাবী শিক্ষার্থী। মাথা ও ঘাড়ের অবস্থা এমন যে সামান্য আঘাতেও মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে!
দাউদ নোয়াখালীর সূবর্ণচর উপজেলার পূর্বচরবাট গ্রামের মৃত মোশাররফ হোসাইনের ছেলে। চার বছর বয়সকালে বাবা মারা যায়। দারিদ্র্যক্লিষ্ট পরিবারের একমাত্র শিক্ষিত ব্যক্তি সে। টাকার অভাবে অন্য ভাইবোনেরা পড়াশুনা করতে পারেনি। তারা সবাই গ্রামে কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে। দাউদের মাস্টার্সও সম্পন্ন হয়েছে পে ফর ইট নামক ফেসবুকভিত্তিক একটি স্কলারশিপের মাধ্যমে।
দাউদ জানান, সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় ২০০৬ সালে প্রথম এই রোগে আক্রান্ত হই। গ্রামের হোমিও ডাক্তারের কাছ থেকে চিকিৎসা নিলে প্রাথমিকভাবে সুস্থ হয়ে যাই। কিন্তু ২০০৮ সালে একই রোগ আবার দেখা দিলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানতে পারি বাতজ্বর হয়েছে। তবে আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিতে থাকি। আবার ২০১০ সালে আক্রান্ত হলে কলেজ শিক্ষকের সহায়তায় ঢাকার বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা করি। সেখানে ধরা পড়ে ‘Ankylosing Spondolitis’ (গ্যাটে বাত) হয়েছে। সেবার চিকিৎসা নিয়ে মোটামুটি সুস্থ হয়ে যাই।
কিন্তু ২০১৫ সাল থেকে তার মেরুদণ্ডের হাঁড়গুলো লেগে বাঁকা হতে থাকে। ২০১৬ সালে বিভিন্ন সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে ভারতের কোলকাতায় চিকিৎসা নেয়। ব্যয়বহুল ওই চিকিৎসায় স্কলারশিপেরই প্রায় ৩ লাখ টাকা খরচ হয়ে যায়। ২০১৮ সালে ভারতের চেন্নাইয়ে ডাক্তার দেখালে তারা জানান, দ্রুত অপারেশন করাতে হবে দাউদকে।
দাউদ নবী জয়নিউজকে বলেন, আমার কোমর থেকে ঘাড় পর্যন্ত মেরুদণ্ডের হাঁড়গুলো জোড়া লেগে বাঁকা হয়ে গেছে। ঘাড়ের সঙ্গে মাথার সংযোগটা খুব নাজুক অবস্থায় আছে। যা উপর থেকে ঘাড় বরাবর কোনো আঘাতেই বিচ্ছিন্ন হয়ে ঝুলে যেতে পারে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মেরুদণ্ড আর ঘাড়ের অপারেশন করতে হবে। এছাড়া কিছু কশেরুকাও প্রতিস্থাপন করতে হবে। যা অনেক ব্যয়বহুল। প্রায় ১২ লাখ টাকার মতো খরচ হতে পারে। কিন্তু আমার পড়াশুনাই চলে স্কলারশিপের টাকায়, চিকিৎসার ব্যায় বহন তো অসম্ভব। সমাজের দানশীল ব্যক্তিদের কাছে আমার অনুরোধ, আমাকে একটু সোজা হয়ে হাঁটতে দিন। একটু সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন।
দাউদকে সাহায্য পাঠাতে পারেন- মো. দাউদ নবী, সঞ্চয়ী হিসাব নং- ১৩৩১৫১০০৭৯৪৭৫, ডিবিবিএল, মুরাদপুর শাখা, চট্টগ্রাম।