নগরের ফইল্যাতলী বাজার এলাকায় বাংলাদেশ মিউচুয়াল ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের (বিএমডিএফ) অর্থায়নে প্রায় ২০ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হতে যাচ্ছে কিচেন মার্কেট কাম কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স।
প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এবং বিএমডিএফ’র মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের উপস্থিতিতে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা এবং বিএমডিএফ ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ হাসিনুর রহমান। ২০২০ সালের মার্চ মাসের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে।
চসিক সূত্র জানিয়েছে, সিটি করপোরেশন এলাকার ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ মিউচুয়াল ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের মাধ্যমে ১৫০ কোটি টাকার অর্থ সহায়তা প্রদান করে। এর বিপরীতে নয়টি প্রকল্প উপস্থাপন করে চসিক। পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে পরে চারটি প্রকল্প বাস্তবায়নের অনুমতি পায় চসিক। প্রকল্পগুলো হলো, ৪৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে দক্ষিণ আগ্রাবাদ এলাকায় কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স, ২০ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ফইল্যাতলী বাজার এলাকায় কিচেন মার্কেট, ১৯ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ফিরিঙ্গী বাজারে কিচেন মার্কেট এবং ৫৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে বাকলিয়ায় স্পোর্টস কমপ্লেক্স নির্মাণ।
গত বছর ৮ নভেম্বর দক্ষিণ আগ্রাবাদে কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। বৃহস্পতিবার প্রকল্পের দ্বিতীয় উপপ্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই প্রকল্পের অধীনে ৩০ গণ্ডা জায়গার উপর দশতলা ভবন নির্মাণ করা হবে। এই ভবনে পার্কিং, কাঁচাবাজার, সুপার শপ, হেলথ কেয়ার সেন্টার, সুইমিং পুল ও অফিস নির্মাণ করা হবে। প্রাথমিকভাবে ভবনের পঞ্চম তলা পর্যন্ত নির্মাণহবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মেয়র বলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়ন যাতে নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন হয় সে লক্ষ্য নিয়ে আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি। আমি দায়িত্ব গ্রহণের আগে স্বপ্নের কথা বলেছিলাম। এখন তা বাস্তবায়ন করছি। সাম্প্রতিক সময়ে নগরের মূল সড়কগুলোতে ভ্রাম্যমাণ বাজার বসে যানজট, অপরিচ্ছন্নতা সহ নানামুখী জটিলতা সৃষ্টি করছে। আমরা এই বাজার উচ্ছেদের পরিকল্পনা নিয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করা হবে। হকারদের পরিচয়পত্র, লাইসেন্স প্রদানের মাধ্যমে শৃঙ্খলায় আনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মেয়রের একান্ত সচিব মফিদুল ইসলাম, চসিক সচিব আবুল হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ, প্রকল্প পরিচালক রফিকুল ইসলাম মানিক, নির্বাহী প্রকৌশলী বিপ্লব দাশ, ঝুলন দাশ, সুদীপ বসাক, জসিম উদ্দিন, রিফাতুল করিমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।