গুজরাটের আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার লন্ডনগামী একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় বিশ্বজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
দুর্ঘটনার ভয়াবহতায় নিহতদের প্রতি সমবেদনা জানাতে শুরু করেছেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও শীর্ষ নেতারা।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এক শোকবার্তায় ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এই ঘটনাকে ‘অত্যন্ত দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেন।
রাশিয়ার সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আহমেদাবাদ বিমানবন্দরে সংঘটিত বিমান দুর্ঘটনার মর্মান্তিক পরিণতির জন্য আমার গভীর সমবেদনা গ্রহণ করুন।
একইসঙ্গে নিহতদের পরিবার ও স্বজনদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন পুতিন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।
রাশিয়ার ভারতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ডেনিস আলিপভও দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও ভারতের জনগণের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
বিমান দুর্ঘটনার ঘটনায় শোক জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারও। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ভারতের আহমেদাবাদ শহরে অনেক ব্রিটিশ নাগরিককে বহনকারী একটি লন্ডনগামী বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার দৃশ্য অত্যন্ত বিধ্বংসী ছিল।
তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি সম্পর্কে আমাকে নিয়মিত আপডেট জানানো হচ্ছে। এই গভীর দুর্দশার সময়ে আমি যাত্রী ও তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।
এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এবং আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এপির তথ্য অনুযায়ী, বিধ্বস্ত হওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারে থাকা কারও জীবিত থাকার সম্ভাবনা নেই।
আহমেদাবাদের পুলিশপ্রধান জিএস মালিক জানান, ‘উড়োজাহাজটিতে থাকা কারও বেঁচে থাকার আশা নেই। বিমানের বিধ্বস্ত হওয়ার স্থানটি আবাসিক এলাকা হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যেও প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে।
তবে এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে সব আরোহীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। কিছুক্ষণ পরই এটি মেঘানি এলাকার ওপর বিধ্বস্ত হয়।
বিমানটিতে মোট ২৪২ জন আরোহী ছিলেন, যার মধ্যে ২৩২ জন যাত্রী এবং ১০ জন কেবিন ক্রু ছিলেন। যাত্রীদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগিজ ও ১ জন কানাডিয়ান নাগরিক ছিলেন। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে, এনডিটিভি, বিবিসি