ফার্নিচার তৈরির কাঁচামাল আমদানি করমুক্ত রাখতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ শিল্প ফার্নিচার মালিক সমিতি চট্টগ্রাম বিভাগের সভাপতি সৈয়দ এ এস এম নুরুল উদ্দিন।
শনিবার (১৯ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় নগরের একটি রেস্টুরেন্টে ১০ম বারের মত চট্টগ্রাম ফার্নিচার মেলা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।
এ এস এম নুরুল উদ্দিন বলেন, হাঁটি হাঁটি পা পা করে আমরা চট্টগ্রামে দশমবারের মতো আয়োজন করতে যাচ্ছি ফার্নিচার মেলা। এ মেলায় ফার্নিচার প্রস্তুতকারক ও বিপণনকারী সব প্রতিষ্ঠানকে এক ছাদের নিচে পাওয়া যাবে। শুধু পণ্য বিক্রির জন্য মেলার আয়োজন করা হয়নি। বরং আসবাব শিল্পের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতেই এ মেলার আয়োজন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে এখন ভারত, মধ্যপ্রাচ্যের সব দেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ফার্নিচার রপ্তানি করা হচ্ছে। তাই আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে ফার্নিচার শিল্পকে রপ্তানিমুখী করাই এ মেলা আয়োজনের মূল লক্ষ্য। সরকারিভাবে পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ও ঠিকমত তদারকি করা হলে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব।
নুরুল উদ্দিন বলেন, ফার্নিচার তৈরি করতে আমাদের বাইরের দেশ থেকে কাঁচামাল আমদানি করতে হয়। সরকার যদি কাঁচামাল আমদানি গার্মেন্টস শিল্পের মত করমুক্ত করে দেয় তাহলে ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ শিল্প ফার্নিচার মালিক সমিতি চট্টগ্রাম বিভাগের সাধারণ সম্পাদক ও মেলা কমিটির আহ্বায়ক মাকসুদুর রহমান।
মাকসুদুর রহমান লিখিত বক্তব্যে বলেন, মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় জিইসি কনভেনশন হলে ছয়দিনব্যাপী ১০ম চট্টগ্রাম ফার্নিচার মেলার উদ্বোধন করবেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। এবারের মেলায় ৩৭টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। ১০টি প্রতিষ্ঠান কো-স্পন্সর হয়েছে মেলায়। সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে এ মেলা। মেলায় প্রবেশমূল্য রাখা হয়েছে ১০ টাকা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মেলা কমিটির যুগ্ম আহবায়ক এম এন আজম খান, সদস্য সচিব মো. সাইফুদ্দিন দুলাল, সদস্য এম নাছের সৈয়দ এম ইফতেখার উদ্দিন, মো. জসিম উদ্দিন, মো. ইকবাল, আগ্রাবাদ এক্সেস রোড ইউনিটের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদ হোসেন টিপু, প্রচার সম্পাদক নঈম উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক মো. শাহ আলম, ক্রীড়া সম্পাদক মহিউদ্দিন চৌধুরী, চিটাগাং ইভেন্টসের চেয়ারম্যান মো. সাহাব উদ্দিন, এমডি আয়েশা বেগম, সিইও মো. মনজুরুল ইসলাম রায়হান, ইভেন্ট এক্সিকিউটিভ মো. রাসেল, ইরফান ও মো. মেহেদী।
জয়নিউজ/ফয়সাল/জুলফিকার