চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের অর্থায়নে বদলে যাচ্ছে থিয়েটার ইন্সটিটিউট চট্টগ্রাম (টিআইসি)। নগরের সংস্কৃতিচর্চার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র টিআইসিকে নান্দনিকরুপে আধুনিকায়ণের কাজ এখন শেষের পথে। ভিতরের অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। এখন চলছে টিআইসির বাইরের অংশে সবুজায়নের কাজ। সবমিলিয়ে আগামী ৭ ফ্রেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মানের অত্যাধুনিক এক টিআইসি পেতে যাচ্ছে নগরবাসী।
শনিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে থিয়েটার ইন্সটিটিউট চট্টগ্রামের (টিআইসি) সংস্কার কাজ পরিদর্শন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
মেয়র নাছির জয়নিউজকে বলেন, কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে নগরের সংস্কৃতিচর্চার কেন্দ্রগুলো। নগরের ৭০ লাখ মানুষের সংস্কৃতিচর্চার জন্য যেতে হয় ডিসি হিল, শিল্পকলা একাডেমি আর মুসলিম হল, এই তিনটি স্থানের যেকোন একটিতে। নগরবাসীর বিনোদনের জন্য তাই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের অর্থায়নে টিআইসির আধুনিকায়নের কাজ চলছে।
টিআইসিকে আন্তর্জাতিক মানের একটি আধুনিক মুক্তমঞ্চ হিসেবে গড়ে তোলা হবে মন্তব্য করে মেয়র বলেন, টিআইসি প্রাঙ্গণে মানুষের বসার ব্যবস্থা করার সঙ্গে সঙ্গে সৌন্দর্যবর্ধনে সবুজায়ন করা হচ্ছে। থাকছে এলইডি লাইটে আলোকায়নের ব্যবস্থা। নগরবাসী এখানে মনোরম পরিবেশে অবসরে আড্ডা দিতে পারবেন।
মেয়র জানান, ভারত সরকার টিআইসির ভিতরে আধুনিকায়নের জন্য ২ কোটি ৩ লাখ ৮২ হাজার ৮৬৬ টাকা অনুদান হিসেবে দিয়েছে। এর মধ্যে লিফট, মিলনায়তনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, শব্দ নিয়ন্ত্রক যন্ত্র বসানো, লাইটিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে।
সংস্কারের কাজ শেষ হলে চট্টগ্রামের সংস্কৃতিচর্চার অন্যতম কেন্দ্র টিআইসি ভিন্নমাত্রা পাবে বলে মন্তব্য করেন মেয়র নাছির।
নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দার জয়নিউজকে জানান, টিআইসির সংস্কার দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। এখানে মুক্তমঞ্চ তৈরি করা হচ্ছে। থাকছে আন্তর্জাতিক মানের ব্ল্যাক বক্সের ব্যবস্থা। এছাড়া সাউন্ডপ্রুফ হলরুমের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
টিআইসিতে প্রবেশের জন্য আরেকটি গেইট করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, টিআইসি প্রথম নির্মাণ করেছিলেন সাবেক মেয়র চট্টলবীর এ বি এম মহিউদ্দীন চৌধুরী। সংস্কারের মাধ্যমে আধুনিকায়ন করে এটিকে আন্তর্জাতিক মানের করে গড়ে তুলছেন গ্রিন এন্ড ক্লিন সিটির রূপকার আ জ ম নাছির উদ্দীন।
আহমেদ ইকবাল আরো বলেন, এর আগে ভারতের অর্থায়নে মিলনায়তনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের ব্যবস্থা করা হয়। বর্তমানে এখানে অত্যাধুনিক ভিআরএফ সিস্টেম সংযোজন করা হয়েছে। আগে ৫২ টন এসি ছিল, বর্তমানে বাড়িয়ে ৮২ টন করা হয়েছে। মিলনায়তনে বসানো হচ্ছে নতুন চেয়ার। আগে মিলনায়তনের দুই পাশে চেয়ার, মাঝে দর্শকদের চলাচলের পথ ছিল, এখন চলাচলের পথ হবে দু’দিকে।
লাইটিংয়ের ক্ষেত্রে এলইডির ব্যবস্থা করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রকল্পে লেকচার হল সংস্কারের উল্লেখ না থাকলেও উন্নয়ন কাজের সাথে সমন্বয় করে সেটিরও আধুনিকায়ন হচ্ছে।
জয়নিউজ/জুলফিকার