টেক্সাসের বন্যা পরিস্থিতি দিন দিন জটিল হচ্ছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে শতক। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।
তাছাড়া এখনো অনেকেই নিখোঁজ, তাঁদের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, মধ্য টেক্সাসের কের কাউন্টিতে গুয়াদালুপে নদীর পাশেই করা হয়েছিল সামার ক্যাম্প। শুক্রবার আচমকা মুষলধারে বৃষ্টি নামে। অত্যধিক বৃষ্টিপাতের ফলে গুয়াদালুপে নদীর জল হঠাৎ বেড়ে যায়। ভেসে যায় দু’পাশের সব কিছু।
সেই হড়পা বানেই ভেসে যায় সামার ক্যাম্পে যোগ দিতে আসা ৭৫০ জনের অনেকেই। সেই সঙ্গেই ক্ষতিগ্রস্ত হয় এলাকার গাড়ি, ঘরবাড়ি। চারদিকে এখন শুধু ধ্বংসের চিহ্ন।
সোমবার, কের কাউন্টির আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ওই এলাকায় নিখোঁজদের সন্ধান পেতে এখনও তল্লাশি অভিযান চলছে।
এদিকে আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে টেক্সাসের বিভিন্ন এলাকায় আরও ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। গুয়াদালুপে নদীর জল বইছে বিপদসীমার উপর দিয়ে।
তবে, ঝড়বৃষ্টিত এবং প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। তারই মধ্যে চলছে তল্লাশি অভিযান।
সংবাদ সংস্থা এপি জানিয়েছে, ওই এলাকায় বন্যার কারণে সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে হিল কাউন্টির।
কের কাউন্টিতে ওই বন্যার কারণে এখনও পর্যন্ত ১০৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। এর মধ্যে ২৮ জন শিশু। ওই শিশুরা যোগ দিতে এসেছিল সামার ক্যাম্পে।
এখন সেখানে চারদিকে শুধুই ধ্বংসের চিহ্ন। এই বন্যাকে ‘অত্যন্ত ভয়াবহ বিপর্যয়’ বলে উল্লেখ করেছেন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প।
গত ১০০ বছরে টেক্সাসে এই রকম বন্যা হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি। আগামী শুক্রবার তিনি সেখানে আসতে পারেন বলেও জানা গিয়েছে।
ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে ওই বন্যার কারণে ক্ষতি হওয়া সামার ক্যাম্পের ছবি। এখন ওই নদীর দু’পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ক্যাম্পের নানান জিনিসপত্র।
আধিকারিকদের দাবি, ওই বন্যা আসার আগেই সতর্ক করা হয়েছিল। তার পরেও কেন বেশ কয়েকটি সামার ক্যাম্পে থাকা শিশুদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়নি তা তদন্ত করে দেখা হবে।
তবে,তার আগে তাঁদের কাজ উদ্ধার কাজ চালিয়ে নিখোঁজদের খুঁজে বার করা বলে জানিয়েছেন কেরভিল সিটি ম্যানেজার ডাল্টন রাইস।
জেএন/পিআর