এক বছরের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের ১২ গেটে স্থায়ীভাবে বসানো হবে কনটেইনার স্ক্যানিং মেশিন। এতে কায়িক পরীক্ষা কমে অধিকাংশ কনটেইনার বন্দর থেকে বের হবে স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে। ২০২০ সালের মধ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এ লক্ষ্যে ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
রোববার ( ২০ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের সম্মেলন কক্ষে কাস্টমস বিভাগের আধুনিকায়নে বাস্তবায়িত ও বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন কম্পোনেন্ট বাস্তবায়নে সচেতনতামূলক কর্মশালায় এ কথা জানান জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য খন্দকার মুহাম্মদ আমিনুর রহমান।
তিনি বলেন, বর্তমানে যে সিস্টেমে আপনারা আইজিএম, বিল অব এন্ট্রি দাখিল করছেন আগামীতে তা থাকবে না। ১ জুলাই থেকে প্রি অ্যারাইভেল প্রসেসিং ( পিএপি) চালু করব। সেখানে পোর্ট অব কলে জাহাজ ছাড়ামাত্র আইজিএম দাখিল করা যাবে। ডিপার্টমেন্ট ও ব্যবসায়ীদের এমন একটি পর্যায়ে আমরা নিয়ে যাব। সবাই যেন বলতে পারে এদেশে ব্যবসা করা যায়।
তিনি আরো বলেন, আধুনিকায়নে সঠিক ও নির্ভুল কার্যক্রম গ্রহণের জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যাবে। পণ্য খালাস সংক্রান্ত কার্যক্রম বন্দরে পণ্য আগমনের পূর্বেই সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। রিস্ক ম্যানেজমেন্ট এবং সিলেকশন ক্রাইটেরিয়া পর্যালোচনাপূর্বক পণ্য খালাসের লক্ষ্যে সঠিক চ্যানেল রেড, ইয়োলো, গ্রিন চ্যানেল নির্ধারণ পণ্য আগমনের পূর্বেই সম্পন্ন করা যাবে। ইয়োলো লাইনের অন্তর্ভুক্ত ৮৫ শতাংশ থেকে ৯০ শতাংশ পণ্য জাহাজ আগমনের সঙ্গে সঙ্গে খালাস করা সম্ভব হবে। পণ্য খালাস দ্রুততর হবে । সংশ্লিষ্ট আমদানিকারককে বিনা কারণে পোর্ট ডেমারেজ দিতে হবে না। পণ্য জট কমবে, ফলে ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ব্যয় হ্রাস পাবে। যাদের বিশ্বাস করি তাদের ক্ষেত্রে পণ্যের কায়িক পরীক্ষা হবে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে থাকবে কনটেইনার স্ক্যানার ও অন্যান্য মেশিন।
চট্টগ্রাম কাস্টমস ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়াডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু বলেন, গণহারে সিএন্ডএফকে লাইসেন্স দেওয়া নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। যেখানে ১০ জন কাজ করতে পারে না সেখানে ১০০ জনকে লাইসেন্স দেওয়া হয়। শিক্ষাগত যোগ্যতা ছাড়া অনেকে লাইসেন্স পেয়ে যায়, সেদিকেও নজর দেওয়া প্রয়োজন।
কাস্টমস কমিশনার ড. এ কে এম নুরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউএসএআইডি-বাংলাদেশ ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন অ্যাক্টিভিটির টিম লিডার নাসির উদ্দিন।