মুক্তিপণ আদায়ের জন্য চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানা এলাকা থেকে অপহৃত ৭ মাস বয়সী শিশু আজিহা আহমেদ নূরকে কক্সবাজারে মায়ানমার সীমান্তে এক পাহাড় থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এসময় অপহরণকারী চক্রের এক নারী সদস্যসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার (১৭ জুলাই) রাতে কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের মৌলভীকাটা গ্রামস্থ পাহাড়ের একটি বাড়ি থেকে শিশুটিকে উদ্ধারের পাশাপাশি দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকার ভালুকখাইয়া এলাকার আব্দুল মজিবের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (১৯) ও কক্সবাজারের রামুর চাকঢালা এলাকার মৃত জালাল আহমদের ছেলে মো. নুরুল আলম (৪০)।
জানা যায়, গত ১৫ জুলাই নগরীর বায়েজিদ থানাধীন শান্তিনগর এলাকার সাত মাস বয়সী শিশু আজিহা আহমেদ নূরকে অপহরণ করা হয়। খবর পেয়ে বায়েজিদ থানা পুলিশ অভিযান শুরু করে।
সোর্সের তথ্যমতে অপহরণকারী চক্রের অবস্থান সনাক্তের পর কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন পুলিশ। রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের মিয়ানমার সীমান্ত ঘেঁষা গহীন পাহাড়ি এলাকায় দক্ষিণ মৌলভীকাটা গ্রাম থেকে অপহৃত শিশুটিকে উদ্ধারের পাশাপাশি দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বায়েজিদ বোস্তামি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান জানান, গত মঙ্গলবার রাতে বায়েজিদের শান্তিনগর এলাকা থেকে এক নারী থানায় এসে তার সাত মাস বয়সী মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ করেন।
ওই নারীর ভাষ্য অনুযায়ী, তার বাসার একটি কক্ষ গ্রেফতার সুমাইয়াকে সাবলেট হিসেবে ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার সকাল তার অনুপস্থিতিতে সুমাইয়া মেয়েটিকে নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যান।
ওসি কামরুজ্জামান বলেন, ‘শিশুটির মা থানায় এসে তার সন্তানকে অপহরণ করে ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে বলে জানান।
অভিযোগ পেয়েই আমরা তদন্তে নামি। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আমরা কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার উত্তর বরইতলী গ্রামে সুমাইয়ার অবস্থান শনাক্ত করি।’
‘পুলিশের নজরদারি টের পেয়ে সেখান থেকে শিশুটিকে রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের মায়ানমার সীমান্তবর্তী দক্ষিণ মৌলভীকাটা গ্রামে পাহাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে অভিযান চালিয়ে নুরুল আলমের ঘর থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে।’
এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মুক্তিপণ আদায়ের জন্য শিশুটিকে অপহরণ করা হয়েছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানায় ওসি।
জেএন/পিআর