এভাবেই কি চলবে, প্রশ্ন অভিনেত্রী বাঁধন ও মাহির?

অনলাইন ডেস্ক

রাজধানীর দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক‍্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় প্রশিক্ষণ বিমানের পাইলটসহ ৩১ জন নিহত হয়েছে।

- Advertisement -

আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ১৬৫ জন। এ ঘটনায় সাধারণের পাশাপাশি শোকের ছায়া নেমে এসেছে বিনোদন অঙ্গনেও। তারকাদের একের পর এক শোকবার্তায় ছেয়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়া।

- Advertisement -google news follower

শোক জানিয়েছেন অভিনেত্রী সামিরা খান মাহি এবং আজমেরী হক বাঁধনও।

ছোট পর্দার অভিনেত্রী সামিরা খান মাহি জুলাইকে বাংলাদেশের জন্য এক দুঃসংবাদের মাস বলেই মনে করছেন।

- Advertisement -islamibank

সোমবার মধ্যরাতে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এই অভিনেত্রী লিখেছেন, এই জুলাই যেন বাংলাদেশে একের পর এক দুঃসংবাদের মাস হয়ে উঠেছে।

কখনো আকাশ থেকে ভেঙে পড়ছে বিমান, কখনো নদী গিলছে প্রাণ, আবার কখনও রাস্তায় ঝরছে তরতাজা জীবন! একটার পর একটা দুর্ঘটনা যেন আমাদের হৃদয় ভেঙে দিচ্ছে।

প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙে আতঙ্কের খবর নিয়ে। এভাবেই কি চলবে? আমরা কি আর একটু নিরাপদ জীবন আশা করতে পারি না?’

দেশের মঙ্গল কামনায় সবশেষ অভিনেত্রী লেখেন, ‘আল্লাহ এই জাতিকে হেফাজত করুন। আমরা যেন শোক নয়, শান্তির খবর শেয়ার করতে পারি— এই আমাদের প্রার্থনা।’

অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনের ওপর উত্তরার এই ঘটনা বেশ বাজেভাবে প্রভাব ফেলেছে।

কারণ দুর্ঘটনার সেই এলাকার পাশেই বসবাস তার। এমনকি মেয়েকে নিয়ে সেই রাস্তা ব্যবহার করেই যাতায়াত করেন তিনি।

এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বাঁধন লিখেছেন, উত্তরার এই ঘটনা খুব ব্যক্তিগতভাবে নিয়েছি। সেই রাস্তা দিয়ে আমি প্রতিদিন আমার মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যাই। তার স্কুল ঐ প্রতিষ্ঠানের খুব কাছেই।

সৌভাগ্যবশত, এখন তাদের গ্রীষ্মকালীন ছুটি চলছে। কিন্তু এই ঘটনা আমাকে এতটাই মানসিকভাবে আঘাত করেছে যে, আমি আসলে কী অনুভব করছি তা সম্পূর্ণভাবে প্রকাশও করতে পারছি না।

বাঁধন আরো লিখেছেন, আমি যখন দূর থেকে দেখেই এতটা ভেঙে পড়েছি, তখন যারা সরাসরি এই ঘটনার শিকার হয়েছেন, তাদের এবং তাদের বাবা-মায়ের যন্ত্রণা কতটা গভীর, তা আমি কল্পনাও করতে পারছি না।

এই মর্মান্তিক ট্র্যাজেডির ভয়াবহতা বর্ণনা করার মতো কোনো শব্দ আমার কাছে নেই।

গতকাল দুপুর ১টার দিকে বিমানটি মাইলস্টোন স্কুলের ৫ নম্বর ভবনে আছড়ে পড়ে। ভবনটির নাম প্রজেক্ট-২। ওই ভবনে দুটি তলা মিলে মোট ১৬টি ক্লাস রুম। এর মধ্যে প্রাথমিকের প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস হতো। ছুটির পর ভবনটিতে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা কোচিং করছিল।

ভবনটির তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ক্লাস রুমের সামনে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ জনে। এ ঘটনায় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরো ১৬৫ জন।

জেএন/পিআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ