স্থাপত্যের চার বিস্ময়

পৃথিবীতে বিস্ময়কর অনেক কিছু রয়েছে। বিশেষত মানুষ নির্মিত স্থাপত্য, যা এখনো ততোটা পর্যটকদের মনযোগে আসতে পারেনি কিংবা ততোটা সমাদরও পায়নি। এমনই চারটি বিস্ময় পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল।

- Advertisement -

রোমানিয়ার প্যালেস অব দ্য পার্লামেন্ট

- Advertisement -google news follower

মোনায়িার রাজধানী বুখারেস্টে অবস্থিত এই ভবন পৃথিবীর সবচেয়ে বড়, সবচেয়ে ব্যয়বহুল বেসামরিক প্রশাসনিক ভবন। এটি সত্যিকার অর্থেই একটি অজানা বিস্ময়। রোমানিয়ার ঘৃণিত কম্যুনিস্ট একনায়ক নিকোলাস সিউসেসকু এটি নির্মাণ করেন। ভবনটি এতোটা বিশালাকৃতির যে, ক্যামেরার এক ফ্রেমে এর পুরো ছবি তোলা সম্ভব না। ভবনটি ১৯৮৪ সালে নির্মিত হয়। ভবনটি নির্মাণে মধ্য বুখারেস্টের প্রায অর্ধেক এলাকাই ধ্বংস করা হয়। এই ধ্বংসযজ্ঞের মাঝে পড়ে ৩০টিরও বেশি গীর্জা এবং ৩০ হাজারেরও বেশি বাড়িঘর।

মালির গ্রেট মস্ক অব জেনে

- Advertisement -islamibank

১৯০৭ সালে নির্মিত এই মসজিদ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কাদার কারুকার্য। রোদে শুকানো ইট, বালি এবং কাদার প্লাস্টার দিয়েই এর সিংহভাগ অংশ নির্মিত। সুদানো-সাহেলিয়ান স্থপাত্যশৈলীর এটি অন্যতম একটি অর্জন বলে মনে করা হয়। ১৯৮৮ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক এই মসজিদকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

পাকিস্তানের দেরাওয়ার দুর্গ

স্থাপত্যের চার বিস্ময়

৪০টি অত্যাশ্চর্য বুরুজ দ্বারা ঘেরা এই দুর্গ বর্গাকৃতির। দুর্গের দেয়ালের দৈর্ঘ ১ হাজার ৫শ’ মিটার এবং উচ্চতা ৩০ মিটার। কলিস্তান মরুভূমির মাঝে স্থাপত্যের অনন্য একটি নিদর্শন এটি। অনেক মানুষই, খোদ পাকিস্তানেরও অনেকে এই দুর্গ সম্পর্কে জানে না। এই দুর্গের নিকটবর্তী এলাকা ভাওয়ালপুর থেকে এখানে পৌঁছাতে একজন পর্যটককে একজন গাইডসহ চার চাকার একটি যান অবশ্যই ভাড়া করতে হবে। এছাড়া এর ভেতর প্রবেশ করতে স্থানীয় আমির বা স্থানীয় নেতার কাছে থেকে বিশেষ অনুমতি নিতে হবে।

 

বসনিয়া-হার্জেগোভিনার পুরানো সেতু

স্থাপত্যের চার বিস্ময়

বসনিয়া-হার্জেগভিনার পুরাতন সেতুরও একটা ইতিহাস আছে। স্থানীয়রা এই সেতুতে পুরাতন সেতু (স্টারি মস্ট) বলে ডাকে। ৪শ ৫৬টি স্থানীয় পাথরের ব্লক দিয়ে ১৫৬৬ সালে এটি তৈরি করা হয়। তুর্কি অটোম্যান স্থপতি মিমার হাজরুদিন এটি নির্মাণ করেন। নেরেতভা নদীর ওপর নির্মিত হয় এই সেতু ৪ মিটার প্রশস্ত, ৩০ মিটার দীর্ঘ এবং ২৪ মিটার উঁচু। তবে এই সেতু ১৯৯০ সালে বসনিয়া যুদ্ধের সময় ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। পরে ২০০৪ সালে এটি আগের শৈলীতেই আবার নির্মাণ করা হয়।

জয়নিউজ/বিশু
KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM