৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলে এক হাজার ৬৯০ জন প্রার্থীকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
তবে এ তালিকায় পুরোনো বিসিএসে একই ক্যাডারে ইতিমধ্যে নিয়োগপ্রাপ্ত বহু প্রার্থী পুনরায় মনোনীত (রিপিট ক্যাডার) হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
চাকরিপ্রার্থীদের দাবি অনুযায়ী এ সংখ্যা ৮০০ জনের বেশি হলেও পিএসসি জানিয়েছে, তারা ৪ শতাধিক রিপিট ক্যাডার হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
চাকরিপ্রার্থীরা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলছেন, এদের অনেকে পুনরায় ওই পদে যোগ না দিলে বহু পদ শূন্য থেকে যাবে।
এদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, ৪৪তম বিসিএসে পুনরাবৃত্তি হওয়া ৪০০ ক্যাডারকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। তারা ৪৩তম বিসিএসে বা আগের বিসিএসে যে ক্যাডারে আছেন ৪৪তম বিসিএসেও একই ক্যাডার পেয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ৪০০ ক্যাডারকে নিয়ে পিএসসির কিছু সুপারিশ আমরা পেয়েছি। এগুলো বাদ দিতে সরকার কাজ করছে। বাদ দিলে কি করা হবে তা নিয়েও কাজ করছে সরকার।
এখন পিএসসিকে এ বিষয় নিয়ে একটি মতামত দিতে বলা হয়েছে। পেলেই তা পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে প্রজ্জাপন দেওয়া হবে। এটি যাতে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয় সেজন্য আমরা কাজ করছি।
এর আগে এ–সংক্রান্ত চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় পিএসসি। চিঠিতে বলছে, এই রিপিট ক্যাডারের ফলে নতুন ও অপেক্ষমাণ মেধাবীরা সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এটি প্রশাসনিক কাঠামো ও জনসম্পদের সদ্ব্যবহারে বাধা সৃষ্টি করছে। এখন এটি অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
একাধিকবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে একই ক্যাডারে পুনরায় সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়া বন্ধ করার জন্য বিদ্যমান বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা ২০১৪–এর বিধি-১৭ এর শেষে নিম্নোক্ত শর্ত যুক্ত করার প্রস্তাব করেছে পিএসসি।
জেএন/পিআর