চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে দাঁড়িয়ে থাকা একটি কাভার্ডভ্যানের পেছনে দ্রুতগামী অপর একটি বাসের ধাক্কায় বাসটির হেলপার নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৯ জন।
আজ রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ভোরে উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাপাহাড় এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত হেলপারের নাম মোহাম্মদ মুরাদ (২৫)। তিনি কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং মুসলিমপাড়ার জামাল হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা সৌদিয়া পরিবহনের একটি বাস ভোরে মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থানা একটি কাভার্ডভ্যানের পেছনে সজোরে ধাক্কা দেয়।
এতে ঘটনাস্থলেই বাসের হেলপার মুরাদের মৃত্যু হয়। আহতদের উদ্ধার করে মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তাদের দুজনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহতরা হলেন- চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থানার চকবাজার এলাকার সাইদুল ইসলাম (২৮), নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার কম্বলনগরের আব্দুল মোমেন (৪৮), লক্ষ্মীপুরের নন্দনপুরের নুর আলম (৪৩), পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়ার সোহেল রানা (৩৮), সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ ইউনিয়নের আব্দুল কাদের (৩৪) ও মিজানুর রহমান (৫০), দিনাজপুর সদরের সোহেল রানা (৩৫), শরিয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার রিপন মণ্ডল (৩৪) এবং মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলার রবিউল হোসেন (৩৬)। তারা সবাই ঢাকায় এসিআই ফুডসে চাকরি করেন।
আহত যাত্রী আব্দুল কাদের বলেন, ‘আমরা ১৯ জন মিলে কক্সবাজার ঘুরতে গিয়েছিলাম। আজ ভোরে ঘুমের মধ্যে হঠাৎ বিকট আওয়াজ শুনে ঘুম ভেঙে যায়।
এরপর দুর্ঘটনার বিষয়টি টের পেয়ে আমি জানালা দিয়ে বেরিয়ে পড়ি। অনেকেই জানালা ভেঙে বের হন এবং বাকিদের ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার করে।’
মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ফাহিম ফেরদৌস বলেন, ‘আহতদের মধ্যে দুজনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে শঙ্কামুক্ত আছেন।
জোরারগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘কাভার্ডভ্যানটি দাঁড়িয়ে ছিল। বাস পেছন থেকে ধাক্কা দিলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত বাস হেলপার মুরাদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
দুর্ঘটনার কারণে মহাসড়কে কিছু সময়ের জন্য যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে হাইওয়ে পুলিশের প্রচেষ্টায় ক্ষতিগ্রস্ত বাস সরিয়ে যানচলাচল স্বাভাবিক করে।’