কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রীপাড়ার প্রবাসী আখের আলীর স্ত্রী শামসুন্নাহারসহ ৬ জন মানবপাচারকারীকে আটক করেছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)।
আটককৃত অন্যরা হলেন- টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপের রোহিঙ্গা হোসনে আরা, নুরুন্নিসা, মোহাম্মদ ইসমাইল, হারুন ও ইউসুফ আলী। এ সময় কালু মিয়া ও হাশেম মোল্লাসহ আরো চারজন পালিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (২ বিজিবি) লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান।
তিনি জানান, টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবি) একটি রুদ্ধশ্বাস অভিযানে শাহপরীরদ্বীপের মিস্ত্রীপাড়া এলাকা থেকে মানব পাচার চক্রের ৬ জন সক্রিয় সদস্যকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে।
পরে বিজিবি’র কঠোর নজরদারি এবং তৎপরতার কারণে মিয়ানমার থেকে লোকজনকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে পাচার করতে সম্পূর্ণরূপে ভেস্তে যায়।
তিনি আরো জানান, গোপন সূত্রের খবরে ৪ অক্টোবর সাগর পথে মায়ানমার হতে পাচার করে বেশ কিছু বিদেশি নাগরিককে টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপের মিস্ত্রীপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে লুকিয়ে রেখে তাদেরকে বিভিন্ন ক্যাম্পে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে পাচারকারী চক্র। এই ভয়ঙ্কর দুরভিসন্ধি আঁচ করতে পেরেই তৎপর হয়ে ওঠে বিজিবি।
খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ২ বিজিবি’র অধিনায়কের নেতৃত্বে তাৎক্ষণিকভাবে মানব পাচারবিরোধী একটি সুপরিকল্পিত অভিযান শুরু হয়।
বিজিবির আভিযানিক দলটি শাহপরীরদ্বীপের মিস্ত্রিপাড়া এলাকার মোছা. শামসুন্নাহারের বাড়িটি ঘেরাও করবার সময় বিজিবি’র উপস্থিতি টের পেয়ে চক্রের দুইজন সন্দেহভাজন বাড়ির পেছনের দিক দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে বিজিবির টহল দল দ্রুত বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে প্লাস্টিকের ছাউনি দেওয়া একটি ঘর থেকে বাড়ির মালিক মোছা. শামসুন্নাহারসহ মানব পাচারকারী চক্রের ৬ জন সদস্যকে আটক করতে সক্ষম হয়।
আটকদের বরাতে বিজিবির ওই কর্মকর্তা আরো জানান, বাড়ির মালিক মোছা. শামসুন্নাহার টাকার বিনিময়ে পাচার করে আনা এই লোকজনকে সাময়িকভাবে তার বাড়িতে লুকিয়ে রাখতেন। তা
রা মিয়ানমার থেকে লোকজনকে অবৈধভাবে পাচার করে এনে বিভিন্ন ক্যাম্পে নিয়ে যায় এবং মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে তাদেরকে এফডিএমএন কার্ড পেতে সাহায্য করারও কাজ করে থাকে।
মানব পাচার চক্রের ধৃত সদস্যদেরকে বর্তমানে স্থানীয় থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান।