ফুটবল ইতিহাসে নতুন অধ্যায় রচনা করলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ৪০ বছর বয়সী এই পর্তুগিজ তারকা বিশ্বের প্রথম ফুটবলার হিসেবে বিলিয়নিয়ারের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন। বর্তমানে তিনি ১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সম্পদের মালিক। ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ারস ইনডেক্সের সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সৌদি ক্লাব আল-নাসরের সঙ্গে নতুন চুক্তির পরই তাঁর সম্পদের পরিমাণ আনুষ্ঠানিকভাবে এই মাইলফলকে পৌঁছায়।
বুধবার (৮ অক্টোবর) ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, ২০২৩ সালের জুনে আল-নাসরের সঙ্গে রোনালদোর চুক্তির মূল্য ছিল প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে বার্ষিক করমুক্ত বেতন ও বোনাস মিলিয়ে তিনি পাচ্ছেন প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া রয়েছে ৩০ মিলিয়ন ডলারের সাইনিং বোনাস এবং ক্লাবের ১৫ শতাংশ শেয়ার।
২০০২ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত রোনালদো শুধু বেতন হিসেবেই আয় করেছেন ৫৫০ মিলিয়ন ডলারের বেশি। এর সঙ্গে যুক্ত হয় নাইকি-এর সঙ্গে ১০ বছর মেয়াদি প্রায় ১৮ মিলিয়ন ডলারের বার্ষিক চুক্তি এবং আর্মানি, ক্যাস্ট্রলসহ অন্যান্য ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন চুক্তি—যা তাঁর সম্পদে আরও ১৭৫ মিলিয়ন ডলার যোগ করেছে।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রোনালদোর আর্থিক সাফল্যের বেশির ভাগই এসেছে মাঠের বেতন থেকে—যা তাঁকে অন্য বিলিয়নিয়ার অ্যাথলেটদের থেকে আলাদা করেছে। যেমন—টেনিস তারকা রজার ফেদেরারের সিংহভাগ সম্পদ মূলত স্পোর্টস ব্র্যান্ড ‘অন হোল্ডিংস এজি’-এর শেয়ার থেকেই এসেছে। আর বাস্কেটবল কিংবদন্তি মাইকেল জর্ডানের সম্পদের বড় অংশ এসেছে নাইকির সঙ্গে আজীবন চুক্তি ও এনবিএ ক্লাবের অংশীদারত্ব থেকে।
বলা যায়, ফুটবলে দীর্ঘ দুই দশকের ক্যারিয়ারে রোনালদো শুধু রেকর্ডই ভাঙেননি, অর্থনৈতিকভাবেও হয়ে উঠেছেন বিশ্বের সবচেয়ে সফল খেলোয়াড়দের একজন।
এদিকে, আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা লিওনেল মেসিরও বিলিয়নিয়ার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে ব্লুমবার্গ। ইন্টার মায়ামি-র সঙ্গে তাঁর বর্তমান চুক্তি অনুযায়ী, খেলোয়াড়ি জীবন শেষে ক্লাবের অংশীদার হওয়ার সুযোগ থাকায় তিনি খুব দ্রুত রোনালদোর সমান হতে পারেন।
জেএন/এমআর