ব্রিজটাউনে ইংল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে ৭৭ রানে অলআউট হওয়ায় তিনি বল করারই সুযোগই পাননি। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা কিছুটা লড়াই জমিয়ে তুললেন। তাতে বোলিং করার সুযোগটা মিললো তার। এলেন, বল করলেন আর জয় করলেন।
বলছি ওয়েস্ট ইন্ডিজের খণ্ডকালিন বোলার রোস্টন চেজের কথা। শনিবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে তিনি একাই নিয়েছেন ইংল্যান্ডের ৮ উইকেট। তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ের দিনে ৩৮১ রানের বড় ব্যবধানে হার মেনেছে ইংল্যান্ড। যা তাদের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে যৌথভাবে সপ্তম সবচেয়ে বড় হার (রানের হিসেবে)।
বিনা উইকেটে ৫৬ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করা ইংল্যান্ড বাংলাদেশ সময় শনিবার রাতে আবার ব্যাট করতে নামে। অবশ্য ৮৫ রানের মাথায়ই উইকেট হারায় তারা। এ সময় ফিরে যান কিয়েটন জেনিংস। ১৪ রান করেন তিনি। সেখান থেকে দলীয় সংগ্রহকে ১৩৪ রান পর্যন্ত টেনে নেন ররি বার্নস ও জনি বেয়ারস্টো। এরপরই ধ্বস নামে ইংল্যান্ডের ইনিংসে। ১ উইকেটে ১৩৪ রান করা ইংল্যান্ডের ইনিংস গুটিয়ে যায় ২৪৬ রানে। সফরকারীরা তাদের শেষ ৬টি উইকেট হারিয়েছে মাত্র ৩৪ রানে!
যদিও টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের প্রত্যেকেই ব্যাট হাতে শুরুটা ভালোই করেছিলেন। কিন্তু কেউ-ই লম্বা ইনিংস খেলতে পারেননি। একমাত্র ররি বার্নস ১৩৩ বল খেলে ১৫ চারে করেন ৮৪ রান। ৩৪ রান করেন বেন স্টোকস। ৩০ রান করেন জনি বেয়ারস্টো। এ ছাড়া জস বাটলার ২৬ ও জো রুট করেন ২২ রান।
বল হাতে রোস্টন চেজ ২১.৪ ওভারে ২ মেডেনসহ ৬০ রান দিয়ে নেন ৮টি উইকেট। যা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের যেকোনো স্পিনারের সেরা বোলিং ফিগার। ১টি করে উইকেট নেন শ্যানন গ্যাব্রিয়েল ও আলজারি জোসেফ। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া কেমার রোচ অবশ্য এই ইনিংসে কোনো উইকেট পাননি।
দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ২০২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক জ্যাসন হোল্ডার।
জয়নিউজ/শহীদ