প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে আমাদের ব্যর্থ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। রেলের ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে ২০৪৫ সাল পর্যন্ত তিনি গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।
রোববার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে নগরের সিআরবি জিএম সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। এসময় রেলের মহাপরিচালক রফিকুল আলমসহ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি জেলায় রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী করা হবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে হাইস্পিড ট্রেন প্রকল্পটি চালু হলে ১ঘণ্টা ৯ মিনিটে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে আসা যাবে। কক্সবাজার-গুনদুম রেললাইন প্রকল্পটি ট্রান্স এশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়ে চীন, মালোয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হবে।
আগামী প্রজন্মের জন্য এডভান্স বাংলাদেশ রেখে যাওয়া আমার লক্ষ্য বলেও তিনি জানান।
২০১৪ সালে বিএনপি-জামাত জোটের নৃশংসতার বর্ণনা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, তারা দেশে বিভিন্ন জায়গায় রেলের স্লিপার তুলে রেল পথের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেছে। তাই এবারের নির্বাচনে জনগণ তাদের প্রত্যাখান করেছে।
এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, রেলে কোনো দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। টিকিটের কালোবাজারী বন্ধে এনআইডিসহ আরো কি কি নতুন ডিভাইস যুক্ত করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। সকলের সহযোগিতা, দায়ীত্ববোধ, শৃঙ্খলা আর সততায় রেল এগিয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।