একদিকে এভিন লুইসের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি, অন্যদিকে ওয়াহাব রিয়াজের হ্যাটট্রিক। দুইয়ে মিলে খুলনাকে ৮০ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে প্লে অফের দিকে অনেকদূর এগিয়ে গেল ইমরুল কায়েসের দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
বিপিএলের ষষ্ঠ আসরের চট্টগ্রাম পর্বে সোমবার (২৮ জানুয়ারি) আসরের ৩৩তম ম্যাচে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন খুলনার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৩৭ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা। যা এখন পর্যন্ত বিপিএলের সর্বোচ্চ সংগ্রহের দিক থেকে দ্বিতীয়। ব্যাটিংয়ে নেমে খুলনা ১৮.৫ ওভারে ১৫৭ রানে গুটিয়ে যায়।
এদিন কুমিল্লার হয়ে শুরুটা দারুণ করেন ওপেনার তামিম ইকবাল ও এভিন লুইস। দু’জন মিলে গড়েন ৫৮ রানের জুটি। তবে সেই জুটি ভেঙে দেন মাহমুদউল্লাহ। তার বলে ডেভিড উইসির হাতে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ২৫ রানে ফেরেন তামিম। এরপর ব্যাটিংয়ে এসে রান যোগ করার আগেই সাজঘরের পথ ধরেন এনামুল হক বিজয়। মাহমুদউল্লাহর বলে নাজমুল শান্তর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
এরপর ইমরুল কায়েসকে সঙ্গে করে ব্যাটে ঝড় তোলেন আরেক ওপেনার এভিন লুইস। দুজন মিলে গড়েন ৯৭ রানের জুটি। তবে দলীয় ১৫৫ রানে ইমরুলকে ফেরান শরিফুল ইসলাম। তার বলে এলবির শিকার হয়ে ২১ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৩৯ রানে ফেরেন ইমরুল। এরপর থিসারা পেরেরা (১১) ও শহীদ আফ্রিদি (১) আউট হয়ে ফিরলেও শামসুর রহমানকে সঙ্গে করে শতক তুলে নেন লুইস। ৪৭ বলেই শতক হাঁকান তিনি। শেষ পর্যন্ত ৪৯ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ১০টি ওভার বাউন্ডারিতে ১০৯ রানে অপরাজিত থাকেন এই উইন্ডিজ ব্যাটসম্যান। এছাড়াও ১৫ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২৮ রানের অপরাজিত থাকেন শামসুর।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও কার্লোস ব্রাথওয়েইট ২টি করে উইকেট নেন। শরিফুল নেন ১টি উইকেট।
২৩৮ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা বেশ ভালোই করেছিল খুলনা। ৫.৩ ওভারে খুলনার দুই ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকী এবং ব্রেন্ডন টেইলর তুলে নেন ৫৫ রান। জুনায়েদ ২৪ বলে চারটি চার আর একটি ছক্কায় করেন ২৭ রান। আরেক ওপেনার টেইলর ৩৩ বলে ৫টি চার আর একটি ছক্কায় করেন ৫০ রান। ১০ বলে দুই বাউন্ডারিতে ১৩ রান করে বিদায় নেন ডেভিড মালান। আর ৭ বলে ১১ রান করে বিদায় নেন দলপতি মাহমুদউল্লাহ।
কার্লোস ব্রাথওয়েইটের ব্যাট থেকে আসে ১৩ বলে ২২ রান। এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত ১৪, আরিফুল হক ২, তাইজুল ইসলাম ১, ডেভিড উইসি ৮, সাদ্দাম হোসেন ০ রান করেন। হ্যাটট্রিক করতে ১৯তম ওভারে কুমিল্লার পাকিস্তানি পেসার ওয়াহাব রিয়াজ ফিরিয়ে দেন ডেভিড উইসি, তাইজুল ইসলাম এবং সাদ্দাম হোসেনকে।
বল হাতে কুমিল্লার হয়ে আফ্রিদি তিন উইকেট নেন। এছাড়াও মেহেদি হাসান, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও থিসারা পেরেরা ১টি করে উইকেট নেন। তাছাড়া ওয়াহাব রিয়াজ ২.৫ ওভারে ১৪ রান দিয়ে তিন উইকেট তুলে নেন।
খেলা শেষে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সহসভাপতি ও নগরপিতা আ জ ম নাছির উদ্দীন কুমিল্লার মারকুটে ব্যাটসম্যান এভিন লুইসের হাতে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার তুলে দেন।