আমেরিকায় বিনা অভিযোগে ১০ দিন আটক থাকার পর সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ইরানের সাংবাদিক মারজিয়া হাশেমি তেহরানে ফিরেছেন।
বুধবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে তেহরানের ইমাম খোমেনী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে বহনকারী বিমানটি অবতরণ করে। এ সময় মারজিয়া হাশেমির আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী, সরকারি কর্মকর্তা ও বিপুল জনতা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
বিমানবন্দরে ইরানের সাবেক স্পিকার গোলাম আলী হাদ্দাদ আদেল এবং প্রেস টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও আইআরআইবি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের প্রধান ড. পেইমান জেবেলি উপস্থিত ছিলেন।
আমেরিকায় জন্মগ্রহণকারী ৫৯ বছর বয়সী মারজিয়া হাশেমি তরুণ বয়সে ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনি একজন ইরানি নাগরিকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে কয়েক দশক ধরে ইরানে বসবাস করছিলেন। গত ১৩ জানুয়ারি আমেরিকার সেন্ট লুইস ল্যাম্বার্ট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করা হয়। তিনি নিজের অসুস্থ ভাই ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য আমেরিকা যান।
তাকে আটকের প্রতিবাদে ইরানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। তীব্র প্রতিবাদের মুখে গত ২৩ জানুয়ারি সকালে ওয়াশিংটন ডিসিতে ২৩ সদস্যের জুরি বোর্ডে মারজিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি হয়। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগই প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে মুক্তি দেওয়ার আদেশ দেন গ্র্যান্ড জুরি।
মুক্তির পর মারজিয়া হাশেমি তার আটক ও কারাগারের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন। মারজিয়া জানান, তাকে আটকের পর মার্কিন গোয়েন্দারা তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার দেহ থেকে ডিএনএ নিয়েছে এবং তারপর ওয়াশিংটনের কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যায়। এরপর তাকে আরেকটি নির্যাতন কেন্দ্রে নেওয়া হয় এবং সেখানে তার পোশাক খুলে তল্লাশি করা হয়।
তিনি বলেন, ‘আমি বাস্তব জীবনে মুসলিম এবং ইসলামের চর্চা করি, পাশাপাশি হিজাব পরি। তারপরও মার্কিন গোয়েন্দারা এ ধরনের অন্যায় করতে দ্বিধা করেনি।’-পার্সটুডে।
জয়নিউজ/আরসি