বিএনপিকে ইতিবাচক রাজনীতি করার আহ্বান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নেতিবাচক রাজনীতির কারণে বিএনপির জনপ্রিয়তা এখন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। বিগত নির্বাচনেই বিএনপি তার প্রমাণ পেয়েছে।
শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নগরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে সদ্য প্রয়াত উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরীর শোকসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এসব কথা বলেন ড. হাছান মাহমুদ।
প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে চা চক্রে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের চিঠি দেওয়ার সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তাদের না যাওয়া অত্যন্ত স্বাভাবিক, কারণ যাদের দুয়ারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ১০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, তারা প্রধানমন্ত্রীর চা চক্রে যাবেন না এটাই স্বাভাবিক। কোকোর মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী বিএনপি কার্যালয়ের সামনে গিয়ে ১০ মিনিট দাঁড়িয়ে ছিলেন, দুয়ার খুলেনি তারা। যে দলের নেত্রী নিজের জন্মের তারিখ বদলে দিয়ে ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডকে উপহাস করার জন্য কেক কাটেন তারা প্রধানমন্ত্রীর চা চক্রে যাবেন না, এটাই স্বাভাবিক।
প্রয়াত উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তিনি রাজনীতিকে ব্রত হিসেবে নিয়েছিলেন। তিনি মাত্র ২৭ বছর বয়সে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন একজন জনপ্রিয় নেতা। তিনি নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতেন তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে। নুরুল আলমের মৃত্যুর মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একজন নিবেদিতপ্রাণ রাজনীতিবিদকে হারিয়েছে। এই ক্ষতি পূরণ হওয়ার নয়।
সভায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন নুরুল আলম চৌধুরীর স্মৃতিচারণ করে বলেন, নুরুল আলম চৌধুরী ছিলেন আদর্শিক যোদ্ধা। নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে তিনি কখনো আপস করেননি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। রাজনীতির জন্য যেকোন ধরনের ত্যাগ করতে সদাপ্রস্তুত ছিলেন।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম, ফটিকছড়ি থেকে নির্বাচিত সাংসদ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী।