চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) একটি আবাসিক হলের রুম দখলকে কেন্দ্র করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে মারধরের ঘটনায় ছয় ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে প্রক্টরের কার্যালয় ও থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী এমদাদুল হক।
গত বুধবার বিকেলে পৃথকভাবে দুটি অভিযোগ দেন তিনি। এমদাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী।
অভিযুক্ত ছয় ছাত্রলীগ কর্মী হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের আজাদুর রহমান আজাদ, লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের সাব্বির রহমান, সংস্কৃতি বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের মুজাহিদুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের আল আমিন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের অর্ণব বড়ুয়া, নয়ন মধুক ও লোকপ্রশাসন বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের শাহ জামান। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
অভিযোগে ভুক্তভোগী এমদাদুল হক উল্লেখ করেন, ‘গত ১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এএফ রহমান হলের ৪০১ নম্বর কক্ষে ঢুকে তাকে ছাত্রলীগ কর্মীরা মারধর করে হল থেকে বের করে দেয়। এসময় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পরিচয় দিলে তার মুক্তিযোদ্ধা বাবাকেও অশালীন ভাষায় গালাগাল করা হয়।’
এমদাদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় বছরে কারো সঙ্গে কোন কথা কাটাকাটিতেও জড়াইনি। এএফ রহমান হলের আমার বরাদ্দকৃত ৪০১ রুমে ছাত্রলীগ পরিচয় দেওয়া একদল সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছিল। আমি তাদের মুক্তিযোদ্ধা সন্তান পরিচয় দিলে তারা আমার বাবাকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বলেও অনেক অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেছে। আমি হলের আবাসিক শিক্ষার্থীর কার্ড দেখালেও আমাকে ভুয়া শিক্ষার্থী বলেছে। আমাকে মারধর করেছে সমস্যা নাই। কিন্তু আমার বাবা যিনি জীবনবাজি রেখে দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন, তাকে অসম্মান করা হয়েছে। তাই আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস ও হাটহাজারী থানায় অভিযোগ দিয়েছি। আশা করি, প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে।’
অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আলী আজগর চৌধুরী জয়নিউজকে বলেন, ‘ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে দোষিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপরাধীদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না।’
হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর জয়নিউজকে বলেন, ‘আমরা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে, ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’