এল ক্লাসিকোর রেশ কাটতে না-কাটতেই শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটানোতে মাদ্রিদ ডার্বিতে নেমে পড়তে হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদকে। আর সে ম্যাচে ওয়েলস তারকা গ্যারেথ বেলের শততম গোলে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে তাদের মাঠেই ৩-১ গোলে হারায় রিয়াল মাদ্রিদ। ফলে মাদ্রিদ ডার্বি জিতে লা লিগার পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠে এসেছে ‘লস ব্ল্যাঙ্কোস’রা।
নগরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের মাঠে ম্যাচের ষোড়শ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোলে রিয়ালকে এগিয়ে দেন কাসেমিরো। টনি ক্রুসের কর্নার থেকে ডি বক্সে অ্যাটলেটিকোর চার খেলোয়াড়ের মাঝেও বলে মাথা ছুঁয়েছিলেন সার্জিও রামোস। ফাঁকায় বল পেয়ে যান কাসেমিরো। সেখান থেকে বাইসাইকেল কিকে গোলরক্ষককে পরাস্ত করে বল জালে পাঠান ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার।
দ্রতই সমতা ফিরিয়েছিল অ্যাটলেটিকো। ২৬ মিনিটে মাঝমাঠে ভিনিসিয়াসের পা থেকে বল কেড়ে নেন অ্যাঙ্গেল কোরেয়া। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের চমৎকার থ্রু পাসে বল পেয়ে যান আঁতোয়ান গ্রিজমান। গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়াকে একা পেয়ে বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি ফরাসি ফরোয়ার্ড।
বিরতির আগে লিড পুনরুদ্ধার করে রিয়াল। ৪২ মিনিটে ভিনিসিয়াসকে ফাউল করে বসেন অ্যাটলেটিকোর ডিফেন্ডার সেবাস্তিয়ান আরিয়াস। রিপ্লেতে ফাউল ডি বক্সের বাইরে দেখা গেলেও ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ১২ গজ দূর থেকে ইয়ান ওবলাককে পরাস্ত করেন রিয়াল অধিনায়ক রামোস।
বিরতির পর ৫৭ মিনিটে বেলকে বদলি হিসেবে মাঠে নামান রিয়াল কোচ সোলারি। সেই বেলই ৭৪ মিনিটে রিয়ালের জার্সিতে নিজের শততম গোলটি করে দলের জয় অনেকটাই নিশ্চিত করে ফেলেন। লুকা মডরিচের পাস ডি বক্সের বাঁ দিকে পেয়ে কোনাকুনি শটে গোলটি করেন ওয়েলস ফরোয়ার্ড। রিয়ালের হয়ে গোলের সেঞ্চুরি করতে বেলের লাগল ২১৭ ম্যাচ।
নির্ধারিত সময়ের দশ মিনিট বাকি থাকতে ১০ জনের দলে পরিণত হয়েছিল অ্যাটলেটিকো। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন টমাস প্যার্টি। একজন কম নিয়ে বাকি সময়ে আর পেরে ওঠেনি দিয়েগো সিমিওনের দল। এই মৌসুমে লিগে ঘরের মাঠে এটাই অ্যাটলেটিকোর প্রথম হার।
এই জয়ে ২৩ ম্যাচে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে উঠেছে রিয়াল মাদ্রিদ। তিনে নেমে যাওয়া অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের সমান ম্যাচে ৪৪ পয়েন্ট। এক ম্যাচ কম খেলে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে বার্সেলোনা। রোববার অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের মাঠে জিতলে রিয়ালের সঙ্গে পাঁচ পয়েন্টের ব্যবধানটা আটে নিয়ে যাবেন মেসি-সুয়ারেজরা।