দুই বাংলার তারকাদের নিয়ে লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত ‘বাজলো ঝুমুর তারার নূপুর’-এ বিজয়ী হলো বাংলাদেশ। বিজয়ীরা হলেন অভিনেত্রী ইশানা, ভাবনা, জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া, স্পর্শিয়া, অমৃতা ও সাফা কবির।
বিজয়ী হিসেবে তারা পেয়েছেন নাগরিক টিভির সৌজন্যে নগদ ছয় লাখ টাকা, ক্রেস্ট এবং কক্সবাজারের ট্যুরের সুযোগ। আর রানারআপ বিজয়ী হিসেবে কলকাতার দল পেয়েছে নগদ তিন লাখ টাকা এবং কক্সবাজারের ট্যুরের সুযোগ।
কলকাতার দলের হয়ে নাচের এই রিয়েলিটি শোয়ে অংশ নেন রিমঝিম, সোহিনী, এনা সাহা, লাভলী, তিথি ও প্রীতি।
গ্র্যান্ড ফিনালের পর্বটিতে কলকাতার সোহিনি পারফরমেন্স করেন ‘পাগলু থোরাসা করলে রোমান্স’ গানের সঙ্গে। ‘এই রাত তোমার আমার’ এবং হিন্দি জনপ্রিয় একটি সুরের মিশ্রনে তৈরিকৃত ফিউশন নাচ নিয়ে মঞ্চ মাতান বাংলাদেশের ইশানা।
কলকাতার এনা সাহা ছিলেন ‘সুন্দরী কমলা’ গানের সঙ্গে। বাংলাদেশের অমৃতা ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে’সহ কয়েকটি গানের সমন্বয়ে একটি ফিউশন ড্যান্স নিয়ে মঞ্চ মাতিয়েছেন।
নাগরিক টিভির অনুষ্ঠান বিভাগের প্রধান কামরুজ্জামান বাবু জানান, ‘প্রচার হওয়া ৬৯টি পর্বতে দুই বাংলার ৩০ জন তারকা অংশ নিয়ে নাচের এই মঞ্চকে কীভাবে লড়াইয়ের মঞ্চ তৈরি করেছেন। কীভাবে নিজেরা এক একটি কঠিন নাচ তুলে ধরেছেন।
অনেকেই নাচতে গিয়ে নাচ ভুলে গেছেন! কেউ কেউ নতুন করে সুযোগ চেয়েছেন। কিন্তু বিচারকরা তাদের সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন!’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং কলকাতার টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র শিল্পীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করতে ও উভয় বাংলার সংস্কৃতির ঐতিহ্যের ধারা দুই বাংলার টেলিভিশন দর্শকদের মাঝে তুলে ধরার জন্যই ‘বাজলো ঝুমুর তারার নূপুর’ নির্মাণ হয়। দুই দেশের শিল্পীদের অংশগ্রহণে নাচের এমন ধরনের অনুষ্ঠান এর আগে হয়নি।
নাগরিক টিভিই প্রথম দুই দেশের শিল্পীদের নিয়ে কোনো নাচের প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান করার উদ্যোগ নেয়। যার পৃষ্ঠপোষকতায় যুক্ত ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড। পাওয়ার্ড বাই সোহানা ইলেকট্রনিক্স। এই আয়োজনে সহযোগিতায় ছিল মমতাজ হারবাল লিমিটেড। সবাইকে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।’
এই প্রতিযোগিতায় লাইফ লাইনের প্রতিযোগী হিসেবে যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ থেকে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি, টিভি অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভা এবং জাকিয়া বারী মম। আর কলকাতা থেকে অংশ নিয়েছেন জি বাংলার রাশি সিরিয়ালের রাশি চরিত্রের অভিনেত্রী গিতশ্রী, চিত্রনায়কা পায়েল।
প্রতিটি পর্বে প্রধান বিচারক হিসেবে বাংলাদেশের ইলিয়াস কাঞ্চন এবং কলকাতার এক সময়ের সাড়া জাগানো নায়িকা ও বর্তমান ভারতীয় লোকসভার সংসদ সদস্য শতাব্দী রায় যুক্ত ছিলেন।
প্রতিটি পর্ব যৌথভাবে উপস্থাপনা করেছেন কলকাতার সৌরভ এবং বাংলাদেশের মাসুমা রহমান নাবিলা।