পার্কে প্রেমিক-প্রেমিকার প্রেম একপর্যায়ে অশ্লীলতার দিকে গেলে বিষয়টি দেখে তাতে বাধা দেন একজন নারী পুলিশ সদস্য। আর এতেই ক্ষেপেছেন প্রেমিকারা। আক্রমণ করে বসেন ওই পুলিশ সদস্যের ওপর।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তিনি। তাকে রক্ষা করতে এসে চোট লেগেছে আরও তিনজনের। এদের মধ্যে একজনের কানে ও আরেকজনের হাতের চোট গুরুতর। ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার মিলেনিয়াম পার্কে।
ভারতের খবরে বলা হয়েছে, ঘটনাটি শুক্রবারের। ঘড়ির কাঁটায় তখন সন্ধ্যা পৌনে আটটা বাজতে চলেছে। মিলেনিয়াম পার্কের দরজা বন্ধ হওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে সবেমাত্র। পার্কের এ কোণ ও কোণ ঘুরে ভিজিটরদের তাগাদা দিতে শুরু করেছেন সিকিউরিটি গার্ডরা। সেসময় হঠাৎই দেখা যায় ঝোপওয়ালা এক কোণে বসে অশ্লীল ও অসভ্য আচরণ করছে একদল পুরুষ ও নারী। সকলের পোশাক অবিন্যস্ত। একে অন্যের গায়ে তারা এমনভাবে ঢলে পড়ছে যে তাতে সহজেই সেদিকে চোখ পড়তে বাধ্য।
সেসময় পার্কে সাদা পোশাকে টহল দিচ্ছিলেন কলকাতা পুলিশের বিশেষ প্রশিক্ষিত নারী ব্রিগেড ‘উইনার্স’এর সদস্যরা। ঘটনার সময়ে অবশ্য একজন নারী পুলিশকর্মীই সেখানে ছিলেন। ওই দলটির কাছে চলে যান তিনি। প্রশ্ন করেন-‘এসব কী হচ্ছে?’ দুই প্রেমিকা উত্তর দেয়-‘প্রেম করছি। তাতে তোর কী। চল পাতলা হ।’
নিজের পরিচয় দিতেই ‘উইনার্স’ এর ওই নারী কর্মীকে অকথ্য গালিগালাজ করতে শুরু করেন চারজন প্রেমিকা। রীতিমতো ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। ‘উইনার্স’ বাকি সদস্যরা যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছান, তখন তাদের সহকর্মীকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হচ্ছে। এমনকি কলকাতা পুলিশের ওই নারীকর্মীর কান কামড়ে ছিঁড়ে নেয়ারও চেষ্টা হয়। তাকে উদ্ধার করতে গেলে নারী পুলিশের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ওই যুবক-যুবতীদের হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬ জনকে। হামলাকারী দলে ৪ জন নারী ও ২ জন পুরুষ ছিল বলে জানা গেছে।
উৎসব কিংবা শহরের পার্কগুলোতে নজরদারি চালানো, বিশেষত ইভটিজিংয়ের ঘটনা রুখতে কয়েক মাস আগেই তৈরি হয়েছে কলকাতা পুলিশের বিশেষ প্রশিক্ষিত নারী পুলিশের দল ‘উইনার্স’। ইতোমধ্যেই একাধিক সাফল্য পেয়েছে এই বিশেষ দলটি।