জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতির কথা উল্লেখ করে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, সরকারের এই নীতি বাস্তবায়নে হালিশহরসহ নগরের কোথাও মাদকবিক্রেতা, মাদকসেবিদের স্থান হবে না।
মেয়র বলেন, মদের উৎস যদি বন্ধ না হয়, তাহলে মাদক নির্মূল করা অত্যন্ত দুরূহ ব্যাপার। এ ব্যাপারে নগরবাসীর সার্বিক সহয়োগিতা নিয়ে নগর থেকে সব মদের দোকান উচ্ছেদ করা হবে।
মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে দক্ষিণ হালিশহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক প্রতিরোধে স্থানীয় জনসাধারণের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন।
সিটি মেয়র আরো বলেন, একটা মানুষকে সর্বনাশের পথের ঠেলে দেয় মাদক। মাদক শুধু একজন মানুষকে নয়, একটা পরিবারকে ধবংস করে দেয়। হালিশহর একটি আবাসিক এলাকা। এ এলাকার মাইলের মাথায় একটি মদের দোকান আছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা আমাকে অভিযোগ করেছে। যা এলাকার জনসাধারণ ও আমার জন্য দুঃখজনক। আবাসিক এলাকায় মদের দোকান থাকতে পারে না। মাদকের সঙ্গে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসও জড়িত। এটা সমাজের জন্য একটি মরণব্যাধি। এই মরণব্যাধি তরুণ সমাজের মন-মানসিকতা পরিবর্তন, স্বাস্থ্য নষ্ট ও সমাজকে কলুষিত করে দিচ্ছে।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী জিয়াউল হক সুমনের সভাপতিত্বে সভায় রাজনীতিক হাজী হারুনুর রশিদ, চসিক আইন শৃঙ্খলা স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান কাউন্সিলর এইচ এম সোহেল, স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা জজ) জাহানারা ফেরদৌস, ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ওসমান গনি, সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ আসলাম, সুলতান নাছির উদ্দিন, আবু তাহের, অধ্যক্ষ এহতেশামুল হক, ওয়াসিম আকরাম, মোহাম্মদ সেলিম ও নারী নেত্রী শারমিন পারু সুলতানা এবং সিমেন্ট ক্রসিং জামে মসজিদের খতিব হাজী মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান সঞ্চলনায় ছিলেন মোহাম্মদ শফিউল আলম।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি আউটার রোড (ফিডার রোড-১)-এর ক্ষতিগ্রস্তদের উচ্ছেদ, ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের দাবিতে এলাকাবাসী মেয়রকে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
অনুষ্ঠান শেষে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন পতেঙ্গা সিটি করপোরেশন স্কুল এন্ড কলেজের নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ, পোর্ট কানেকটিং রোড ও আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের উন্নয়ন এবং আউটার স্টেডিয়ামের সৌন্দর্যবর্ধন কাজ সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। এসময় চসিক কাউন্সিলর হাজী মো. জয়নাল আবেদীন, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহানুর বেগম, চসিকের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত মো. তৈয়ব উপস্থিত ছিলেন।