সকালে বেগুনকে সবাই ভুল করে ভেবেছিলেন বোমা! তা নিয়ে হয়েছিল তুলকালাম কাণ্ড। তবে দিন গড়াতে মিলল অন্য খবর। বোমা ভেবে যে বেগুনকে নিয়ে এত কাণ্ড, তা আসলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) মক ট্রায়াল কম্পিটিশনের প্রতীকী আলামত!
জানা যায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় জেলার ৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণে ২৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় ‘ইন্টার ইউনিভার্সিটি ল’ ক্লিনিক’। সেখানে আয়োজিত হয় মক ট্রায়াল কম্পিটিশন (প্রতীকী বিচার প্রতিযোগিতা)। জব্দকৃত আলামত হিসেবে আদালতে উপস্থাপন করতে বেগুন দিয়ে তৈরি করা হয় একটি বোমা। বেগুনে কালো রঙের স্কচটেপ মুড়িয়ে দুটি তার সংযোগ করা হয় নকল বোমাটিতে। আর সেটিকে নিয়েই ঘটে তুলকালাম কাণ্ড।
বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত দশটার দিকে চবির আইন অনুষদের ডিন কার্যালয়ের সামনে তা পড়ে থাকতে দেখে গ্রেনেড ভেবে পুলিশকে খবর দেন এক কর্মচারী। সারারাত আশেপাশের এলাকা ঘিরে রেখে সিএমপির বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটকে খবর দেয় পুলিশ।
কিন্তু শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে পাঁচ সদস্যের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট সেটিকে নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে বুঝতে পারেন এটি আসলে বোমা নয়, কাঁচা বেগুন।
এ নিয়ে বিভিন্ন অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয় ঘটনাটি। ‘বেগুন’ নিয়ে ছড়িয়ে পড়ে হাস্যরস। বেগুন দিয়ে বোমা বানানোর রহস্য নিয়ে ছড়ায় বিতর্কও। আর এই ভাইরাল নজরে আসতেই সেদিনের মক ট্রায়ালে উপস্থিত সদস্যরা বুঝতে পারেন এর আসল রহস্য।
প্রকাশিত একটি সংবাদের কমেন্টবক্সে এই রহস্যের জট খোলে। ‘তাসমিয়া ইকরা’ নামের এক ফেসবুক আইডি সেখানে কমেন্ট করেন, ‘এটি আমাদের একজন বানিয়েছে। মক ট্রায়াল কম্পিটিশনে। প্রসিকিউশন জব্দকৃত আলামত হিসেবে এটি শো করে।’
মক ট্রায়াল কম্পিটিশনে উপস্থাপিত নকল বোমাটি নষ্ট না করে ফেলে দেওয়ায় এমন ঘটনা ঘটেছে বলে তার কমেন্ট থেকে জানা গেছে।
এ বিষয়ে আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক এ বি এম আবু নোমান জয়নিউজকে বলেন, মক ট্রায়ালে উপস্থাপনের জন্য এটি তৈরি করা হয়েছিল। আইন শিক্ষার্থীদের শেখানোর জন্য এগুলো প্রায়শই তৈরি করা হয়। কিন্তু স্বেচ্ছাসেবকদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে এ ঘটনাটি ঘটেছে। বিষয়টি আমরা প্রথমে বুঝতে পারিনি। আমরা এবং প্রশাসন নিরাপত্তার স্বার্থে সিরিয়াস ইস্যু হিসেবেই নিয়েছিলাম।