কেউ আওয়ামী লীগের চেতনার বাইরে গেলেই তাদের স্বাধীনতাবিরোধী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ।
শনিবার ( ১৬ ফেব্রুয়ারি )সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ সময় রিজভী বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সরকারকে সহায়তা করেছে নির্বাচনে ও ক্ষমতা গ্রহণে। তাই প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অন্যায় করলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিনি বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকা মিডনাইট ভোটের এই সরকার দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ক্রমাগত ব্যর্থ হচ্ছে।
তিনি বলেন, বারবার মিয়ানমার সরকারিভাবে তাদের ওয়েবসাইটে সে দেশের মানচিত্রে সেন্টমার্টিন দ্বীপকে নিজের অংশ হিসেবে দেখাচ্ছে। সে দেশের আরাকান রাজ্যের ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আসতে বাধ্য করেছে। এখন সেখানকার সংখ্যালঘু উপজাতিদেরও তাড়িয়ে বাংলাদেশে ঢোকাচ্ছে।
রিজভী বলেন, এ নিয়ে আওয়ামী দানব সরকার কিছু করতে চরমভাবে ব্যর্থ হচ্ছে। প্রতিবাদ করা তো দূরে থাক, বরং মিয়ানমারের বাংলাদেশ বিরোধী নীতির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন শেখ হাসিনা।
সারাবিশ্বে যখন রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মিয়ানমারকে চাপ দেওয়া হচ্ছিল, সে সময় প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমারের পক্ষ নিয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন বলেও জানান বিএনপির এ নেতা।
নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে মিয়ানমারের মত দেশ বারবার বাংলাদেশের অংশকে দাবি করছে। আর বাংলাদেশ সরকার শুধু প্রতিবাদ জানিয়েই ক্ষান্ত। বিষয়টি কেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উপস্থাপন করা হয়নি, প্রশ্ন করেন তিনি।
রিজভী বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধান হচ্ছে না কেবল মিড নাইট সরকারের নতজানু নীতির কারণে। বাংলাদেশের ভূখণ্ডকে মিয়ানমার তাদের দেশের অংশ করে নিতে চাইবে আর আমরা কিছুই করব না! শুধু দূতকে ডেকে নিয়ে প্রতিবাদ করলেই সব শেষ হয়ে যায় না। এটি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি আঘাত। বিষয়টি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জোরালোভাবে উপস্থাপন করা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, গত বছরের অক্টোবর মাসেও মিয়ানমারের শ্রম, অভিবাসন, জনসংখ্যা মন্ত্রণালয়সহ সে দেশের অন্তত তিনটি ওয়েবসাইটের মানচিত্রে সেন্টমার্টিন দ্বীপকে তাদের দেশের অংশ হিসাবে দেখানো হয়। তখনও এই গণবিচ্ছিন্ন সরকার কেবল নামকাওয়াস্তে প্রতিবাদ করে চুপ হয়ে যায়।