উদ্বোধনের পর সাড়ে ৫ বছর পার হলেও যন্ত্রপাতি ও জনবলের অভাবে চালু হয়নি লোহাগাড়া উপজেলা ট্রমা সেন্টার। প্রতিদিন অন্তত ২০-২৫ জন সাধারণ রোগীসহ হাড়ভাঙা রোগীরা এ হাসপাতালে ছুটে আসেন। কিন্তু ট্রমা সেন্টারটি পুরোপুরি চালু না হওয়ায় এসব রোগী চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
জানা যায়, ২০০৭ সালের জুনে প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এ ট্রমা সেন্টার স্থাপনের কাজ শুরু হয়। তিনতলা বিশিষ্ট এ সেন্টারে রয়েছে ২০টি শয্যা। এরমধ্যে বিশেষ কেবিন (ভিআইপি) ২টি এবং সাধারণ শয্যা ১৮টি। ভবনে বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগও রয়েছে। ২০১৩ সালের ২৯ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি উদ্বোধন করেন।
লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. হানিফ জানান, উদ্বোধন হলেও জনবল, যন্ত্রপাতি ও প্রয়োজনীয় আসবাব না থাকায় ট্রমা সেন্টারটি পুরোপুরি চালু করা যায়নি। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন অর্থোসার্জন অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে জরুরি রোগীদের ট্রমা সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দিয়ে থাকেন।
দোহাজারী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, গত ৩ মাসে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহত এবং ৮ জন গুরুতর আহত হয়। ট্রমা সেন্টারটি চালু থাকলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের দুর্ঘটনাকবলিত লোকজন তাৎক্ষণিক সুচিকিৎসা পেত। তাই ট্রমা সেন্টারটির গুরুত্ব অনেক। এটি দ্রুত চালু করা প্রয়োজন।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী জয়নিউজকে জানান, ট্রমা সেন্টারটি চালুর ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে একাধিকবার চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিদর্শনও করে গেছেন।