বসন্তের শুরুতেই নগরবাসী পেল বৈশাখী ‘আমেজ’। ভোর হতেই বজ্রপাতসহ শুরু হওয়া তুমুল বৃষ্টি দিন গড়ানোর সঙ্গে কমে এলেও সন্ধ্যা পর্যন্ত বন্ধ হয়নি। আবহাওয়া অফিস বলছে, বৃষ্টি হতে পারে আরো কয়েকদিন। নতুন মৌসুমের প্রথম এই বৃষ্টি নগরবাসীকে কিছুটা স্বস্তির আবেশ এনে দিলেও দিন গড়ানোর পালায় তা দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। দিনভর বৃষ্টিতে নগরের নীচু এলাকার বেশ কিছু সড়কে পানি জমে যায়। একুশে বইমেলায় বড় ধরনের ক্ষতি পোহাতে হয় প্রকাশকদের।
দিনের শুরুতেই তুমুল বৃষ্টির মধ্যে গণপরিবহনের জন্য অপেক্ষারত অফিসযাত্রীদের বড় ধরনের ভোগান্তি পোহাতে হয়। একই সমস্যায় পড়েন বিকেলে অফিসফেরত যাত্রীরাও।
বেসরকারি চাকরিজীবী জিয়াউদ্দিন বাবু জয়নিউজকে বলেন, সাধারণত সকাল ও বিকেলে গণপরিবহনের সংকট থাকে। এজন্য দুর্ভোগে পড়তে হয় প্রতিদিন। আজ হঠাৎ করে বৃষ্টি হওয়াতে গণপরিবহন সংকটের কারণে আমাদের আরো বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, বঙ্গোপসাগরে স্বাভাবিক লঘুচাপের কারণে দিনভর দমকা হাওয়াসহ গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। সকাল আটটা থেকে শুরু হয় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি। সকাল ৯টা ১০ মিনিট থেকে ৫ মিনিটের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যায়।
এদিকে হঠাৎ এই বৃষ্টিতে নগরের অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশকদের বড় ধরনের ক্ষতি পোহাতে হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে লাখ লাখ টাকার বই নষ্ট হয়ে গেছে।
অমর একুশে বইমেলা উদযাপন কমিটির যুগ্ম সচিব জামাল উদ্দিন জয়নিউজকে জানান, হঠাৎ বৃষ্টিতে বইমেলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পেন্সিল পাবলিকেশন, অ্যাডর্ন, নন্দন বইঘর, আবীর প্রকাশনীসহ অনেকগুলো স্টল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া বেশ কিছু স্টলের বইপত্র ভিজে গেছে। এখনো টাকার অংক হিসাব করা হয়নি। তবে ধারণা করছি, ১৬ থেকে ২০ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।