নগরের ঐতিহ্যবাহী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান ‘চট্টেশ্বরী মন্দির’। প্রায় ৫০০ বছরের পুরানো এই মন্দিরের সামনের সড়কটি ‘চট্টেশ্বরী সড়ক’ নামে পরিচিত।
সম্প্রতি এ সড়কের নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। আর এতেই সনাতন ধর্মালম্বীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। গত দুইদিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এর বিরোধিতা করে সরব হয়ে ওঠেন সনাতন ধর্মালম্বীরা। তবে ‘চট্টেশ্বরী সড়ক’ নাম পরিবর্তনের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানান এ আসনের (চট্টগ্রাম-৯) সাংসদ ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
মঙ্গলবার ( ২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপমন্ত্রী নওফেল নিজের ফেসবুক ওয়ালে একটি স্ট্যাটাসে বিষয়টি তুলে ধরেন। তাঁর স্ট্যাটাসটি জয়নিউজের পাঠকের জন্য হুবুহু তুলে ধরা হলো :
‘চট্টগ্রাম শহরের নামের সাথে চট্টেশ্বরী মন্দিরের নামের ইতিহাস জড়িত আছে, এই ঐতিহাসিক স্থাপনার নামে চট্টগ্রামের চট্টেশ্বরী রোড। এই সড়কের নাম পরিবর্তন মানেই বলতে গেলে চট্টগ্রাম নামের পরিবর্তন! এই সড়ক চট্টগ্রাম নয় (৯) সংসদীয় আসনের অন্তর্গত। এই নয় আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য হিসেবে শুধু নয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের উপ মন্ত্রী হিসেবে আমি বলতে চাই এই ঐতিহাসিক সড়কের নাম নিয়ে কারো কোনো দ্বিমত নেই, নামের পরিবর্তনের কোনো পরিকল্পনাও নেই। তাই এটি নিয়ে বিতর্কের আর প্রয়োজন নেই। কেউ যদি সরল মনে কোনো মন্তব্য করেন এটি হয়তোবা ভুল বশত করেছেন। আদৌ এটি কেউ চেয়েছেন কিনা বা বলেছেন কিনা তা-ও খতিয়ে দেখতে হবে, যাতে কোনো ভুল সংবাদের বরাতের স্বীকার কেউ হচ্ছেন কিনা। আমি ইতিমধ্যেই একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নামের সাথে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী জিয়ার নাম পরিবর্তন করে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতির নামে সেই যাদুঘরের নাম পরিবর্তন ও প্রকল্প গ্রহণের প্রস্তাব করেছি মন্ত্রিপরিষদের সভায়। এটি অচিরেই বাস্তবায়িত হবে। এভাবে পালাক্রমে সকল অপশক্তির নাম চট্টগ্রাম থেকে আমরা উৎপাটিত করবো। চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ নাম গুলো এবং স্থাপনাগুলো আমরা সংরক্ষন করবো। চট্টেশ্বরী রোড/সড়ক এই নামেই থাকবে।’