চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, মানুষের কল্যাণে পুলিশকে জনগণের আরো কাছে নিয়ে যেতে হবে। মাদক, দুর্নীতি, সন্ত্রাস দমন করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশের অবদান সবচেয়ে বেশি।
শুক্রবার (১ মার্চ) কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী পুলিশ সদস্যদের দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরুপ পুলিশ মেমোরিয়াল ডে-১৯ উপলক্ষে সম্মাননা প্রদান ও স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পুলিশের কথিত ক্রসফায়ারের অনেকে সমালোচনা করেছে। পত্রিকায় লেখার মাধ্যমে ক্রসফায়ারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলাম। সেটা নিয়ে অনেকে সমালোচনা করেছে। পুলিশ কি গুলি খাবে নাকি প্রতিহত করবে সে সিদ্ধান্ত পুলিশের। পুলিশ নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য গুলি করেছিল।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মো. মাহাবুবুর রহমান।
সিএমপি কমিশনার বলেন, সরকারি অন্যান্য সংস্থার সদস্য যখন মৃত্যুবরণ করে তারা ফ্ল্যাট বাড়ি পায়, অনুদান পায়, বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক-বীমা প্রতিষ্ঠান তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসে। তাহলে পুলিশ সদস্যরা মৃত্যুবরণ করলে কেন সরকার এগিয়ে আসবে না? আমি আহ্বান করবো- আমাদের জন্য স্পেশাল কিছু করা হোক। আমরা জানবো- কাজ করতে গিয়ে যদি আমরা মৃত্যুবরণ করি, সরকার আমাদের পাশে আছে। তাহলে পুলিশ সদস্যরা আরও দ্বিগুণ মনোবল নিয়ে কাজ করবে।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, পুলিশ যে পরিমাণ ত্যাগ স্বীকার করে, সে পরিমাণ সুযোগ-সুবিধা পায় না। সরকারি কর্মচারীরা কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে ৮ লাখ টাকা প্রদান করে সরকার। পুলিশ সদস্যদের জন্য যা মাত্র ৫ লাখ টাকা। অথচ রাষ্ট্রের ঝুঁকির সব দায়িত্ব পালন করে পুলিশ।
শহীদ পুলিশ সদস্যদের পরিবারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ২ লাখ সদস্যের পুলিশ বাহিনী আমরা আপনাদের পাশে থাকবে। আপনারা নিরাশ হবেন না। উপরে আল্লাহ নিচে ২ লাখ পুলিশ আপনাদের পাশে আছেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, মহানগর কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সদস্য সচিব অহীদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে দায়িত্বরত অবস্থায় মারা যাওয়া ১৯ জন পুলিশ সদস্যের পরিবারের হাতে সম্মাননা ও সহায়তা তুলে দেন অতিথিরা।
জয়নিউজ/রুবেল/জুলফিকার