মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে বাঁচান। আমি মরে গেলে আমার তিন ছেলের ভবিষ্যত কী হবে? আমার দুটি কিডনি একেবারে অচল হয়ে গেছে। আমি আর যন্ত্রণা সহ্য করতে পারছি না। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার জীবন ভিক্ষা চাই।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) বেডে শুয়ে ছলছল চোখে এমনিভাবে আকুতি জানাচ্ছিলেন শামসুন নাহারের (৩৭)। তিনি আনোয়ারার কৈখান পড়কোড়া গ্রামের দিনমজুর ওসমানের স্ত্রী।
জানা যায়, শামসুন নাহার দীর্ঘদিন ধরে কিডনি রোগে ভূগছেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় চমেক হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পরামর্শ দেন। কিন্তু কোথায় পাবেন এত টাকা দিনমজুর ওসমান? তাই হাসপাতালের ডায়ালাইসিসের বেডে শুয়ে প্রতিদিন মৃত্যুর প্রহর গুনছেন শামসুন নাহার। টাকার অভাবে তার চলতি চিকিৎসার ব্যয় মিটাতেই দিশেহারা দিনমজুর ওসমান।
দিনমজুর ওসমান জানান, প্রতি সপ্তাহে দুইবার চমেক হাসপাতালে ডায়ালাইসিস করতে তাকে আনতে হয়। প্রতিবার ডায়ালাইসিস করাতে ৪ থেকে ৬ হাজার টাকা খরচ হয়। তাকে বাঁচাতে অনেক টাকার দরকার। আমি আর পারছি না। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও দেশের বিত্তবান মানুষের কাছে সাহায্য কামনা করছি।
শামসুন নাহারের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এহতেশামসুল হক বলেন, রোগীর দুটো কিডনি সাইজ ছোট হয়ে গেছে। তাই রোগীর অবস্থা তেমন একটা ভালো না। তাকে বাঁচাতে হলে কিডনি নতুন করে স্থাপন করতে হবে।