ক্রমাগত প্রচেষ্টার কারণে তৈরি পোশাক খাতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারগুলো থেকে বাংলাদেশের নির্ভরশীলতার হার ৯৫ থেকে ৭০ শতাংশে নেমে এসেছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা ও প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপের পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর।
তিনি আরও বলেন, পোশাক শিল্পের সুনাম ধরে রাখতে আমাদের এখনই পণ্য ও বাজার বৈচিত্র্য নিশ্চিতে অধিক মনোযোগী হতে হবে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ যদি তৈরি পোশাক খাতে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি লক্ষ্য অর্জন করতে চায়, তবে গুণগত পণ্য উৎপাদনের কোনো বিকল্প নেই।
চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি (সিআইইউ) আয়োজিত কর্পোরেট টক অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে নগরের জামালখানের সিআইইউ ক্যাম্পাসের অডিটোরিয়ামে বিজনেস স্কুল এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপের পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সমানতালে এগিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, আমরা ৬টি পণ্য থেকে ৮০ শতাংশ রাজস্ব আয় করছি। যদিও চীন ৪০০ পণ্য নিয়ে শীর্ষে রয়েছে। দেশের স্বার্থ এগিয়ে রাখতে তাই সবাইকে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বাজারে নিজেদের সেরাটা তুলে ধরতে প্যাসিফিক জিন্স ব্যবসায়িক মডেল পরিবর্তন করছে। সবাইকে বলি আমরা জিন্স বিক্রি করি না, জীবনধারা বিনিময় করি। ক্রেতারা সবসময় ভালো জিনিস ঘরে নিয়ে যেতে চায়।
সিআইইউর শিক্ষার্থীদের বেশি করে দক্ষতা অর্জন করার পরামর্শ দিয়ে সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, চাকরির বাজারে সমস্যা সমাধানের জন্য বিশ্লেষণী দক্ষতা যাচাই করা হয়। ক্লাসরুমের পড়া আর কর্মক্ষেত্রের কাজ এক নয়।
তাই পড়ালেখার পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এমন কোর্স-কারিকুলাম, প্রশিক্ষণ ও সিলেবাসের প্রতি শিক্ষার্থীদের মনোযোগ বাড়াতে হবে বলে বক্তব্যে উল্লেখ করেন এই তরুণ উদ্যোক্তা।
সভাপতির বক্তব্যে সিআইইউর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী বলেন, সৈয়দ তানভীর তরুণ প্রজন্মের কাছে অনুকরণীয়। তার নিষ্ঠা, শ্রম ও পরিকল্পনা থেকে উদ্যোক্তা হওয়ার অনেক কিছু শেখার আছে।
অনুষ্ঠানে উপাচার্যের ও বিজনেস স্কুলের পক্ষ থেকে অতিথির হাতে ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়। অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজনেস স্কুলের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আইয়ুব ইসলাম, ডিন ড. মোহাম্মদ নাঈম আবদুল্লাহ, শিক্ষক অধ্যাপক ড. মীর মোহাম্মদ নুরুল আবসার, সহযোগী অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুর কাদের, ও ড. ইঞ্জিনিয়ার রশীদ আহমদ চৌধুরী। প্রেস বিজ্ঞপ্তি