মাত্র ১৪ ইঞ্চি উচ্চতার ৫ কেজি ওজনের অস্বাভাবিক ছোট আকারের ফ্রিজিয়ান জাতের গরুর একটি বাছুর নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে যশোরের চাঁচড়া ইউনিয়নের ভাতুড়িয়া নারায়নপুর গ্রামে। বাছুরটির আকার একটি ছাগল ছানার থেকে সামান্য বেশি।
জানা গেছে, সাধারণত ফ্রিজিয়ান জাতের বাছুর প্রসবের সময় ওজন হয় গড়ে ২৫ থেকে ৩০ কেজি। উচ্চতা থাকে ২৫ থেকে ৩৩ ইঞ্চি। এ বাছুরটি জন্ম নিয়েছে ৩ মার্চ। সাধারণত গরু গর্ভধারণ সময় ৯ মাস ১০ দিন তবে এ বাছুরটি তার এক মাস আগেই প্রসব হয়।
গরুটির মালিক ঝুমুর বেগম বলেন, আমার ফ্রিজিয়ান জাতের গরুটি এই বাছুর প্রসব করে। এর আগে ওই গরুর আরো দুটি বাছুর হয়েছে। সে দুটি স্বাভাবিক আকারের। তাদের কোনো সমস্যা নেই। তবে, এই বাছুরটি অনেক ছোট। এমন ছোট বাছুর আমি এর আগে দেখিনি। তিনি আরো বলেন, বাছুরটি এতই ছোট যে সে তার মায়ের দুধের বাটের নাগাল পাচ্ছে না। আর গরুটিও তার এই সন্তানকে মেনে নিচ্ছে না। কাছে গেলেই লাথি মেরে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে। এ কারণে গরুটির দুধ দুইয়ে ফিডারে ভরে বাছুরটিকে খাওয়াতে হচ্ছে।
অপরদিকে একই গ্রামে চার পা-ওয়ালা একটি মুরগির সন্ধান পাওয়া গেছে। মুরগিটির গায়ের রং কালো। সোনালি জাতের ৫ মাস বয়সী মুরগিটির দুই পা সচল। আর অতিরিক্ত পা দুটো মুরগিটির শরীরের দুপাশে ঝুলে থাকে। তবে মুরগিটি অন্য সুস্থ মুরগির মতোই সবল।
মুরগির মালিক জহিরুল ইসলাম গাজী জানান, তার নিজস্ব মুরগির খামার আছে। ৫ মাস আগে খামারের জন্য তিনি ফরিদপুর রাজবাড়ি থেকে ১ দিন বয়সী একহাজার মুরগির বাচ্চা ক্রয় করেন। সেই বাচ্চাগুলোর সাথে এই চার পা-ওয়ালা বাচ্চাটিও ছিল। এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারণে খামারের অন্য মুরগিগুলো বড় করে বিক্রি করে দিলেও মুরগিটি পুষে রেখেছি। এমন মুরগির মালিক হতে পেরে আমি গর্বিত। অনেক মানুষ এ বিচিত্র চার পা-ওয়ালা মুরগি দেখতে আসে। এটা আমার ভালো লাগে।