রাঙা হাসি রাশি রাশি অশোকে পলাশে, রাঙা নেশা মেঘে মেশা প্রভাত-আকাশে, নবীন পাতায় লাগে রাঙা হিল্লোল, দ্বার খোল্, দ্বার খোল্। রবীন্দ্রনাথের এই গানে মেতে উঠেছিল চট্টগ্রামের হিন্দু অধ্যুষিত অলি-গলি। ঘরে ঘরে মেতে ছিল সবাই রঙের খেলায়। আজ যে ছিল দোল!
দোলের ইতিহাস আজ থেকে প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগের। বৃন্দাবনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এবং তাঁর অন্তরঙ্গা শক্তি রাধা রানীর চরণে আবির ঢেলে দোল উৎসবের শুরু করেছিলেন ব্রজবাসীরা।
সেই দিনটি ছিল ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথি। এই উৎসবটি পরবর্তীতে সমগ্র ভারতবর্ষে ছড়িয়ে পড়ে। যেটি পরে হোলি বা দোল পূর্ণিমা নামে খ্যাতি পায়।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) নগরের জামালখান, দেওয়ানজী পুকুর পাড়, টেরিবাজার, হাজারী গলি, ফিশারি ঘাট, অভয়মিত্র ঘাট, পাথরঘাটা, নালাপাড়া, চকবাজার, গোসাইলডাঙ্গাসহ বিভিন্ন এলাকায় রঙিন এ আয়োজন দেখা যায়। এছাড়াও নন্দনকানন তুলসীধাম, লোকনাথ ধাম, আসকার দিঘীর পাড় রামকৃষ্ণ মিশন, ইসকন প্রবর্তক মন্দির, শ্রীকৃষ্ণায়ন, কৈবল্যধাম, রঘুনাথবাড়ীসহ মন্দিরগুলোতে অনুষ্ঠিত হয় দোলপূজা।
পণ্ডিত সুমন আচার্য জয়নিউজকে বলেন, বুধবার (২০ মার্চ) ১০টা ১১ মিনিট থেকে শুরু হওয়া পূর্ণিমা তিথি ছিল বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকাল ৭টা ৫৪ মিনিট ৩ সেকেন্ড পর্যন্ত। এই তিথিতে ভগবান মন্দির থেকে ভক্তদের মধ্যে নেমে আসেন, শাস্ত্রে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের দ্বাদশ প্রকার যাত্রার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে দোলযাত্রা অন্যতম।