প্রতিবছর কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে পার্বত্য রাঙামাটি থাকে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর। হোটেল- মোটেলগুলো থাকে বুকড। কিন্তু এ বছর আশানুরূপ পর্যটক সমাগম হয়নি রাঙামাটিতে। হোটেল-মোটেলগুলোতে বুকিং কম হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিবছর ঈদকে সামনে রেখে পর্যটকের ঢল নামে এখানে। সে হিসেবে প্রস্তুতও ছিলো হোটেল-মোটেলগুলো। কিন্তু এবার পর্যটকদের তেমন সমাগম ঘটেনি।
তারা জানান, শুভলং ঝরণায় পানি থাকাতে অনেকেই সকালে এসে ঘুরাঘুরি করে বিকালেই চলে যাচ্ছে। এতে হোটেলের রুমগুলোর পর্যাপ্ত বুকিং হয়নি।
হোটেল মতি মহলের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, এবার আমাদের হোটেলে আশানুরূপ রুম বুকিং হয়নি। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে হয়ত একটু বেড়েছে। এ বছর তেমন পর্যটক দেখা যাচ্ছে না।
মো. ইমতিয়াজ কক্সবাজার থেকে রাঙামাটি এসেছেন। তিনি জানান, এর আগেও ঈদে রাঙামাটি বেড়াতে এসেছি। কিন্তু এবার তেমন ভিড় নেই। ফটিকছড়ির আব্দুল্লাহ জানান, সকালে এসেই ঝরনায় গেলাম। সারাদিন ঘুরে সন্ধ্যার আগে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেবো। তাই হোটেলে ওঠার প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদ-পাহাড় মনোমুগ্ধকর। সময়টা বেশ ভালো কাটলো বন্ধুদের নিয়ে।
হোটেল মতি মহলের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, এবার আমাদের হোটেলে আশানুরূপ রুম বুকিং হয়নি। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে হয়ত একটু বেড়েছে।
এক ব্যবসায়ীর দুঃখ, রাঙামাটিতে নতুন কোনো পর্যটন কেন্দ্র হয়নি। এজন্য পর্যটকরা এখন বান্দরবান-খাগড়াছড়িমুখী হচ্ছে।
রাঙামাটি পর্যটন কমপেক্সের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া বলেন, আমরা আরো বেশি পর্যটক সমাগম আশা করেছিলাম। তিনি এখানে পর্যটন শিল্পের বিকাশে আরো নতুন নতুন পর্যটন স্পট নির্মাণের দাবি জানান।
পর্যটন বোট ঘাট সংশ্লিষ্ট একজন জানান, ঈদে এবার অনেক ঝিমিয়ে আসে এখানকার পর্যটন স্পটগুলো।
জয়নিউজ/আরসি