রাজধানীর বনানীতে এফ আর টাওয়ারে ভয়াবহ আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট। যোগ দিয়েছেন সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর সদস্যরাও।
ওই ভবনে আটকা পড়েছেন অনেকেই। তাদের মধ্যে একজনের নাম ফাহাদ ইবনে কবীর। মৃত্যুর মুখোমুখি ওই যুবক ফোন দেন তার মা ফরিদা ইয়াসমিনের কাছে। ফোন করে মাকে জানান, ভেতরে আগুনের ধোঁয়ায় নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তিনি দম নিতে পারছেন না।
ছেলের সঙ্গে কথা বলার পরপরই মা ফরিদা ইয়াসমিন ছুটে আসেন এফ আর টাওয়ারের নিচে। সেখানে ছেলের সন্ধানে তিনি আর্তনাদ শুরু করেন। ফরিদা ইয়াসমিন ঢাকায় ছেলের সঙ্গে থাকতেন।
ফরিদা ইয়াসমিন আর্তনাদ করে বলেন, ছেলের সঙ্গে এক ঘণ্টা আগেও আমার কথা হয়েছে। এখন তার মুঠোফোন বন্ধ পাচ্ছি। জানি না ছেলের ভাগ্যে কি ঘটেছে।
তিনি জানান, তার ছেলে ১২ তলায় ডাট গ্রুপে কাজ করতেন। তিনি সেখানকার আইটি ইঞ্জিনিয়ার। ফাহাদের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের ভবানীপুরে। দুই ভাইয়ের মধ্যে ফাহাদ ছোট।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে এফ আর টাওয়ারের ৯ তলা থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। পরে এ আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো ভবনে।