হাটহাজারীর দুধ বিক্রেতা আরিফ হোসেন। আমান বাজার (জয়নাব ক্লাবের পাশে) মোতালেব ভবনে ফ্যামিলি বাসা ভাড়া নিয়ে গড়ে তোলেন একটি ‘দুধ তৈরির কারখানা’। প্রতিদিন এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করেন ৮০ লিটার তরল দুধ। তবে বিক্রি করেন ২৫০ লিটার!
ভাবছেন কীভাবে সম্ভব?
এই চতুর দুধবিক্রেতা আসল দুধের সঙ্গে গুঁড়ো দুধ আর পানি মিশিয়ে ৮০ লিটার দুধকে ২৫০ লিটারে পরিণত করেন!
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে উপজেলার আমান বাজার এলাকার ওই দুধ তৈরির কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমীন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউএনও রুহুল আমীন জয়নিউজকে বলেন, বরিশালের চন্দ্রমোহন এলাকার আরিফ হোসাইন ঘর ভাড়া নিয়ে ভেজাল দুধের কারখানা গড়ে তুলেছিলেন। এক ভাগ খাঁটি দুধের সঙ্গে পাউডার ব্লেন্ড করে দুই গুণ পানি মিশিয়ে গরুর দুধের নামে বিক্রি করতেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আরিফ স্বীকার করেছেন- ক্রেতারা যাতে ভেজাল দুধের মধ্যে খাঁটি দুধের সুঘ্রাণ পান সে জন্য তিনি ৮০ লিটার দুধ কিনে আনতেন। ওই দুধের সঙ্গে ভেজাল মিশিয়ে তিনি বিক্রি করতেন ২৪০ লিটার। মিষ্টির দোকানে সরবরাহের পাশাপাশি খুচরা গ্রাহকদের কাছেও এ দুধ বিক্রি করতেন তিনি।
এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত আরিফের ঘর থেকে ২৫০ লিটার দুধ ও দুধ পাউডার জব্দ করে এতিমখানায় বিলি এবং আরিফকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।