পর্তুগালের ২৬ বছর বয়সী ক্যাটারিনা সেকুয়েরাকে অনেক আগেই চিকিৎসকরা তার মস্তিষ্ক মৃত বলে ঘোষণা করেছেন। এরই মধ্যে সেকুয়েরার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হওয়ারও কথা ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) তিনি এক পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রীড়াবিদ ক্যাটারিনা সেকুয়েরা মারাত্মক অ্যাজমায় আক্রান্ত হবার পর কোমায় চলে যান। কোমায় চলে যাওয়ার পরেও সন্তান জন্ম দানের এটা দ্বিতীয় ঘটনা।
ক্যাটারিনার সদ্য জন্ম নেওয়া ছেলের নাম রাখা হয়েছে সালভাদর। ৩২ সপ্তাহ মাতৃগর্ভে থাকার পর সালভাদরের জন্ম হয়েছে এবং এরপর তাকে শিশু হাসপাতালে পরিচর্যায় রাখা হয়েছিল। ক্রীড়াবিদ হিসেবে নিজের দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন সেকুয়েরা। তবে তিনি শিশু বয়স থেকেই অ্যাজমায় ভুগছিলেন। গত ডিসেম্বরে তিনি যখন অ্যাজমায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তখন ১৯ সপ্তাহের গর্ভবতী ছিলেন। ওই অসুস্থতা থেকেই কোমায় চলে যান তিনি। এরপর পরিস্থিতির অবনতি হলে ২৬ ডিসেম্বর তার মস্তিষ্ক মৃত ঘোষণা করা হয়। পরে তাকে ভেন্টিলেটরে সংযুক্ত করা হয়, যেন তার গর্ভের সন্তান বাঁচতে পারে।
চিকিৎসকরা বলছেন, তাদের উদ্দেশ্য ছিল অন্তত ৩২ সপ্তাহ পর্যন্ত যেন অপেক্ষা করা যায়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবারই তার সিজার করা হয়। ৩২ সপ্তাহের শিশুর বেঁচে থাকার যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকে বলেই চিকিৎসকরা এই ঝুঁকি নিয়েছিলেন।
হাসপাতালের এথিকস কমিটি বলছে, মাতৃগর্ভে শিশুটিকে বাঁচিয়ে রাখার বিষয়ে তারা পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শিশুটির পিতাও চেয়েছিলেন যেন শিশুটি বেঁচে থাকে।
সেকুয়েরার মা বলছেন, তিনি তার কন্যাকে বিদায় দিয়েছেন, কিন্তু শিশুটির পিতা চেয়েছেন বলেই শিশুটির বিষয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিশুটিকে অন্তত তিন সপ্তাহ হাসপাতালে থাকতে হবে।
জয়নিউজ/বিশু