জয়নিউজবিডি ডেস্ক: বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অবরোধ চলাকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বাসে পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যার ঘটনায় কুমিল্লায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস. এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
একইসঙ্গে আগামী রবিবার খালেদা জিয়ার আবেদনটি আবার কার্যতালিকায় থাকবে বলে জানিয়েছেন আদালত।
আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানি করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, জয়নুল আবেদীন, মাহবুব উদ্দিন খোকন, এ কে এম এহসানুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড.মো.বশির উল্লাহ।
ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান জানান, বোমা হামলার ঘটনায় প্রথমে বিস্ফোরক আইনে মামলা করা হয়। পরে এটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলায় রূপান্তর করা হয়। সেই মামলায় নিম্ন আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল আবেদন করা হয় গত ১৮ জুলাই। একইসঙ্গে খালেদা জিয়ার এই মামলায় জামিনও চাওয়া হয়।
এহসানুর রহমান আরও জানান, এ মামলায় গত ১ জুলাই বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন কুমিল্লার একটি আদালত। তবে, সেই আদালতে জামিন চেয়ে করা আবেদন শুনানির জন্য আগামী ৮ আগস্ট শুনানির দিন ঠিক রয়েছে। যেহেতু খালেদার জামিন না দিয়ে এবং আবেদন নিষ্পত্তি না করে শুনানির জন্য পরর্বতী দিন ঠিক করা হয়েছে, সেহেতু বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে আপিল করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ বলেন, এ মামলায় গত ১ জুলাই খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জামিনের আবেদনের শুনানির জন্য ৮ আগস্ট তারিখ বহাল রাখেন কুমিল্লার আদালত। এরপর খালেদা জিয়া ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল ও জামিন আবেদন করেন।
তিনি আরও বলেন, এর আগে এ মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন খালেদা জিয়া। যেটি এখন পেন্ডিং রয়েছে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় পাঁচ বছরের দণ্ড নিয়ে পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পুরাতন কারাগারে বন্দি রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
বিপি